BRAKING NEWS

খোয়াইয়ে পেট্রোল পাম্পের বেহাল অবস্থা, ব্যাহত পরিবহন ব্যবস্থা

নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ১১ ডিসেম্বর৷৷ খোয়াই রামচন্দ্রঘাট-আশারাম বাড়ী কৃষক থেকে বাড়ী, সরকারী এম্বুলেন্স পরিষেবা সব কিছু আটকে৷ ঘটনা শুধু এই ১০ দিনের নয়৷ খেয়াাই শহরের একমাত্র অনবদ্য পেট্রোল পাম্পের জন্ম থেকেই নানা রকম অভিযোগ রয়েছে৷ যেমন নেই পরিসেবা, তেমনি নেই মানবিক বোধ৷ এছাড়া কোরাক্স, ট্যাবলেট এর সাম্রআজ্য এই স্থানে৷ অথচ ডিজেল মেশিনটি সারাইয়ের কোন নাম গন্ধ নেই৷ ডিজেল মেশিনটি দীর্ঘদিন যাবত অকেজো৷ সর্বময় কর্তাদের জানিয়েও অনবদ্য পেট্রোল পাম্পের দৈনন্দিন সমস্যার কোন সুরাহা হচ্ছেনা৷ কর্মকর্তা বলে থাকেন, যা খুশি করতে পারেন৷ যেমন খুশি অভিযোগ জানাতে পারেন৷ আমাদের কিছউ হবেনা৷
প্রশ্ণ হচ্ছে এত সাহস, এত দম্ভ কোথা থেকে পায় উনারা? যেখানে পরিসেবা নেই বরং পেট্রোলের কালো বাজারি প্রকাশ্যে চলে৷ এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ২০ বছর পর উনার মনে হয়েছে ত্রিপুরায় শিল্প নয়, কৃষিকে প্রাধান্য দিতে হবে৷ কিভাবে কৃষি প্রাধান্য পাবে? কৃষকরা বর্তমানে ডিজেলের অভাবে পাওয়ার টিলার, ধান মারার মেশিন চালাতে পারছেন না৷ অপরদিকে খোয়াই হাসপাতালের এম্বুলেন্স পরিষেবাও বন্ধ এই ডিজেলের অভাবেই৷ গরীব-শ্রমিক-কৃষকদের প্রাইভেট গাড়ী ভাড়া করে রোগী নিয়ে যেতে হচ্ছে৷ খোয়াই এর আশারামবাড়ী -রামচন্দ্রঘাট এলাকার কৃষকরা প্রায় ৪৫ কিমি বা ৩০ কিমি দূর থেকে আসেন৷
রামচন্দ্রঘাটের পেট্রোল পাম্পেরও তথৈবচ অবস্থা৷ কৃষকরা দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে এসে দেখেন ডিজেল নেই৷ ওনাদের অন্য এওসিতে চলে যেতে বলা হয়৷ গরীব কৃষকরা ১০ লিটার ডিজেল জোগাড় করতে প্রায় ১০০ টাকা লিটার প্রতি খরচ করতে হয়৷ জনগনের অভিমত রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী এবং মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মহাশয় এর বাস্তবমুখী হবে চিন্তা এবং দেখা দরকার কারন বর্তমান আমলারা আগরতলা প্রজ্ঞা ভবনে গিয়ে কাগজে পত্রে সবঠিক হ্যায় বুঝিয়ে দিয়ে আসেন৷ বাস্তব চিত্র যদি সরজমিনে দেখা যায় তাহলে ঠিক তার উল্টো৷ সমগ্র খোয়াইতে হাজার হাজার কানি জমিতে ফসল করা হচ্ছেনা৷ জল, বীজ ও সারের অভাব রয়েছে৷ যদি খোয়াই থেকে আগরতলা যাওয়ার পথেই রাস্তার দুপাশে দেখা যায় কত জমি পতিত পড়ে রয়েছে৷ ২-৩ ফসলের জায়গায় দায়সারাভাবে ১ ফসল করা হচ্ছে৷ গ্রামীন এলাকার ভেতর গেলে দেখা যায় কত জমি খালি পড়ে রয়েছে জলের অভাবে৷ আসলে আমলারা ভূল তথ্য দিয়ে এবং বাস্তাব অভিজ্ঞতা কাজে না লাগিয়ে মিথ্যা রিপোর্ট বানিয়ে মন্ত্রী বাহাদুদের খুশি রাখেন৷ বর্তমানে কৃষকরা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত৷ কৃষি দপ্তর ঠুটো জগন্নাথ৷ সার, বীজ, জল এবং ডিজেল সহ নানান সমস্যায় ভুগছেন কৃষকরা৷ সঠিক সময়ে সঠিক কাজ করেন না৷ সব কিছু সময় পেরিয়ে গেলে কৃষককের কাছে পৌঁছে ৷ যা দেওয়া, না দেওয়া সমান কথা৷ শুধু সংগঠন ঠিক রাখাই ফাকীবাজ আমলাদের কাজ৷ খোয়াইয়ের কৃষককুলের দাবি সরকার এবং আমলারা বাস্তবমুখী হউক এবং ডিজেল সহ অন্যান্য সমস্যা দুর হউক৷ তবেই কৃষি নির্ভর হবে ত্রিপুরা৷ বাস্তব রূপ নেবে কৃষি বিপ্লব৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *