BRAKING NEWS

বিষিয়ে উঠছে কদমতলা উচ্চ মাধ্যমিক সুকলের পরিবেশ, পঠন পাঠন শিকেয়

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ২৫ নভেম্বর৷৷ উত্তরের কদমতলা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীর পঠনপাঠন লাটে৷

কদমতলা উচ্চ মাধ্যমিক সুকলের কম্পিউটারগুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ ছবি নিজস্ব৷
কদমতলা উচ্চ মাধ্যমিক সুকলের কম্পিউটারগুলি পরিত্যক্ত অবস্থায় থেকে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ ছবি নিজস্ব৷

খোশ মেজাজে শিক্ষক শিক্ষিকারা৷ ঐতিহ্যবাহী কদমতলা সুকলের সুনামকে জলাঞ্জলী দিয়ে নিজের মর্জিমাফিক সুকল শিক্ষক সুদীপ কুমার নাথ ও হগব মার্কা কিছু শিক্ষক শিক্ষিকারা নিজের মর্জিমাফিক সুকলে আসছেন, যাচ্ছেন, ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করাচ্ছেন৷ সমাজের মেরুদন্ড শিক্ষাঙ্গণকে কুলষিত করছেন কিছু শিক্ষকরা শিক্ষকদের এহেন কর্মকান্ডে ঐ সুকলে অভিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েকে দিতে তিনবার ভাবেন৷ সে সুকল পূর্বে উত্তর জেলার একটা সুনাম অর্জন করেছিল সে সুকলে ছেলেমেয়েরা পঠনপাঠন করতে আজ ভয় পায়৷ লাল ঝান্ডার ছায়ার নিচে আশ্রিত প্রধান শিক্ষক সুদীপ কুমার নাথ এক যুগেরও অধিক সময় পার করে ফেলেছেন কদমতলা সুকলে৷ তিনি কদমতলা সুকলের দায়িত্ব হাতে নেওয়ার পর থেকেই সুকলের পঠনপাঠন নিম্নমুখী হতে লাগে৷ বর্তমানে আড্ডা দেওয়ার কফিশপ বা রেস্টুরেন্টে পরিণত করে ছেড়েছেন সুকলকে৷ অভিযোগ ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবক মহলের একাংশের৷
উল্লেখ্যযোগ্য যে, বিগত তিন বৎসর যাবৎ কদমতলা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কম্পিউটার ক্লাস হচ্ছে না৷ এই খবর পেয়ে প্রতিবেদক খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হতবাক৷ কতদিন পর হল নং-১১ এর কম্পিউটার রুম খোলা হল সংবাদকর্মীদের সামনে তা উনারা ছাড়া আর কেউ বলতে পারবে না৷ এক কথায় ভুতূরে ঘরে পরিণত হয়েছে কম্পিউটার রুম৷ কাগজ, বই মার্কশিট, চপ্পল সহ বহু সামগ্রী ছেড়ানো ছিটানো গোটা কম্পিউটার রুমে৷ তবে এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক সুদীপবাবুর বক্তব্য প্রত্যেকদিনপ্রজেক্টা মাধ্যমে কম্পিউার ক্লাস করানো হয়৷ বর্তমানে কোন কম্পিউটার ফ্যাকাল্টি নেই উনার সুকলে বর্তমানে শুধু নবম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীকেই কম্পিউটার শেখানো হয়৷সংবাদ কর্মীদের প্রশ্ণবানে জর্জরিত হয়ে সুদীপবাবু স্বীকার করেন বেগোলার কম্পিউটার রুম খোলাও শেখানো হয় না৷ উনার সুকলে নাকি ২২টি কম্পিউটারের মধ্যে ৬টি মোটামুটি ঠিক আছে৷ তাছাড়া উনি আরো স্বীকার করেন ২০১৫ সালের ১ এপ্রিল টিচার নেই কম্পিউটারের৷
অপরদিকে নবম শ্রেণীর এক সুকল ছাত্রীর বক্তব্য নিতে গিয়ে বেরিয়ে পড়ে আসল সত্য৷ ঐ সুকলের নবম শ্রেণীর এক সুকল ছাত্রী প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য সম্পূর্ণ ভূল বলে জানায় এবং সে বলে বর্তমানের কম্পিউটার যুগে সুকলে কম্পিউটার হয় না৷ কিভাবে কম্পিউটার অন অফ করতে হয় তা তারা বলতে পারবে না৷ তিন বৎসর পূর্বে ওরা কম্পিউটার ক্লাস করেছিল আজ অবধি তাদের ভাগ্যে আর জুটেনি৷ সুকল ছাত্রী আরো অভিযোগ করে বলে, আগে কম্পিউটার ফ্যাকাল্টি দুজন ছিলেন তবুও নিয়মিত ক্লাস হত না আর এখন তো একজনও নেই৷ কিভাবে ক্লাস হবে৷ নবম শ্রেণী সুকল ছাত্রছাত্রীদের বক্তব্য হল নং ১১ কম্পিউটার রুম স ব সময় তালা লাগিয়ে বন্ধ করে রাখা হয়৷
পাশাপাশি অনেক ছাত্রছাত্রীরা ক্ষোভে ফঁুসছে কিন্তু শিক্ষক শিক্ষিকাদের বেত্রাঘাতের ভয়ে মুখ ফুটে কিছু বলছে না৷ সব কিছুর পর স্কুলের ভেতর গরু ছাগলের গোচরণ ভূমি হিসেবে পরিণত হয়েছে৷ যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা৷ সুইপার থাকা সত্ত্বেও সুকলে হাঁটু অবধি নোংরা লেগে রয়েছে৷ সুকল পরিষ্কার বা সুকল দালান মেরামতি করার উদ্যোগ বা আগ্রহ নেই সুকল কর্তৃপক্ষের৷
তাছাড়া সুকল বাউন্ডারির ভেতরে রয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের দামী দামী মদের খালি বোতল৷ কদমতলা অঞ্চলের শিক্ষিত মহল ও অভিভাবকদের অভিযোগ সুকলের মুখোশদারী শিক্ষকবাবুরা সুকলে আসেন একমাত্র বিলেতি মদের দামি বোতলগুলি খালি করার জন্য৷ এমনকি ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস না করিয়ে টিচারদের স্টাফ রুম এবং ক্যান্টিনে আড্ডা দেওয়াটাই হল শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের প্রধান ডিউটি যার প্রত্যক্ষ সাক্ষী প্রতিবেদক৷ বেলা ১১৫০ পর্যন্ত মাস্টার মশাই ও দিদিমণিকে স্টাফরুম ও ক্যান্টিনে বসে চায়ের কাপে চুমু খেয়ে আড্ডা দিতে দেখা গিয়েছে৷ এখন প্রশ্ণ সবার মনে একটাই কদমতলা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাংশ ভন্ড শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপর শাস্তি প্রদান করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পুনরায় কদমতলা স্কুলের সুনাম ফিরিয়ে আনতে কতটুকু দায়িত্ব পালন করে? এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ণ?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *