নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/ খোয়াই, ১ অক্টোবর৷৷ বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাবার সময় আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে খয়েরপুরের ত্রিনাথ এলাকায় বাইক ও মারুতির মধ্যে সংঘর্ষে এক মহিলা গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন৷ আহত মহিলার নাম প্রণতি দেববর্মা ওরফে প্রণতি মল্লিক৷ তাকে জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাবার সময় মারুতি ও বাইকের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষে এক মহিলা গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন৷ ঘটনা খয়েরপুরের ত্রিনাথ এলাকায়৷ মহিলার নাম প্রণতি দেববর্মা মল্লিক৷ বাড়ি কল্যাণপুরের বড় মাধব পাড়ায়৷ ভাই প্রদীপ মল্লিকের সঙ্গে বাইকে করে যোগেন্দ্রনগরে যাবার সময় খয়েরপুরের ত্রিনাথ এলাকায় বাইক ও মারুতির মধ্যে সংঘর্ষ হয়৷ তাতে ভাই বোন দুজনই আহত হন৷ আহতদের উদ্ধার করে জিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ ভাই প্রদীপ মল্লিককে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ বোন প্রণতিকে জিবিতে চিকিৎসা চলেছে৷ খয়েরপুরে আউট পোস্টের পুলিশ মারুতি গাড়িটি আটক করেছে৷
মারুতি ও বাইক দুটিই দ্রুতবেগে চলছিল৷ চালকরা গতি নিয়ন্ত্রণ না করতে পারার ফলেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে৷
এদিকে, শনিবার সকালে মান্দাইয়ে বাইক ও অটোর সংঘর্ষে মা ও শিশু কন্যা গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন৷ আহতরা হলেন রত্না দাস ও প্রিয়াংকা দাস৷ তাদেরকে জিবি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷
শনিবার সকালে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে গুরুতরভাবে আহত হল মা ও মেয়ে৷ ভাইয়ের সঙ্গে বাইকে করে মেয়েকে নিয়ে যাবার সময় মান্দাইয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন রত্না দাস৷ জানা যায়, রত্না দাস মেয়েকে নিয়ে এনআইটি টিএসআর ক্যাম্পের কাছে থাকেন৷ স্বামী ট্রাফিক পুলিশ৷ কুমারঘাটে কর্মরত৷ শনিবার সকালে রত্না দাস তার মেয়েকে নিয়ে ভাইয়ের সঙ্গে বাইকে করে জিরানিয়া গার্লস সুকলের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন৷ মান্দাইয়ে বিপরীত দিক থেকে দ্রুতবেগে আসা একটি অল্টো বাইককে ধাক্কা দেয়৷ তাতে বাইক নিয়ে ছিটকে পড়ে গুরুতরভাবে আহত হন মা ও মেয়ে৷ তাদেরকে প্রথমে জিরানিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে তাদেরকে জিবিতে স্থানান্তর করা হয়৷
মান্দাই থানার পুলিশ এব্যাপারে একটি মামলা গ্রহণ করেছে৷ দুর্ঘটনার পর অল্টো নিয়ে চালক পালিয়ে যায়৷
এদিকে, পথ দুর্ঘটনা এখন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠেছে৷ সে সাথে অমানবিক হচ্ছে সমাজ৷ যান চালক বা দুর্ঘটনাকারীদের ভূমিকা আরো নিম্নগামী হচ্ছে৷ এর মধ্যে শনিবার মর্মান্তিক এক পথ দুর্ঘটনা ঘটে গেল খোয়াই থানাধীন রামচন্দ্রঘাট এলাকায়৷ একটি গাড়ি এক ব্যক্তিকে ধাক্কা দিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে দিয়েই পালিয়ে যায়৷ জানা যায়, ঘিলাতলী নিবাসী ঐ আহত ব্যক্তির নাম সুব্রত দাস৷ দুর্ঘটনায় সুব্রত দাসের একটি পা সম্পূর্ণ ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে গেছে৷ প্রত্যক্ষদর্শী পথচারীরা তৎক্ষণাৎ অগ্ণিনির্বাপক দপ্তরে খবর দিলে দমকল কর্মীরা গুরুতর জখম অবস্থায় সুব্রত দাসকে রাস্তা থেকে তুলে খোয়াই জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে৷ সংবাদ লেখা পর্যন্ত সুব্রত দাসের পরিবারে এই দুর্ঘটনার খবর পৌঁছেনি৷ অথচ ইতিমধ্যে খোয়াই জেলা হাসপাতাল থেকে সুব্রত দাসকে জিবি স্থানান্তর করা হয়৷ এখন পর্যন্ত এতটুকু তথ্যই মিলেছে যে আহত ব্যক্তির নাম সুব্রত দাস৷ উনার বািিড় ঘিলাতলী এবং পিতার নাম সুজিত দাস৷ কিন্তু রাজপথ যেভাবে পথ চলতি মানুষের জন্য বিভীষিকা হয়ে উঠছে তাতে আরক্ষা প্রশাসনের কোন ভূমিকাই কিন্তু চোখে পড়ছে না৷ এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় আহতদের এভাবে মৃত্যুর জন্য রাস্তার উপর ফেলে চলে যাবার ঘটনা আমাদের মানবিকতা বোধের প্রতি একটা প্রশ্ণচিহ্ণ হয়ে উঠছে৷
2016-10-02

