নিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ১৩ সেপ্ঢেম্বর৷৷ খোয়াই জেলা হাসপাতাল৷ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর বেশ ঘটা করে জেলা হাসপাতালে ব্লাড চালু হয়েছে৷ নিত্যদিনই ব্লাড ব্যাঙ্কে কোনও না কোন সংস্থা, সংগঠন, সরকারী বা বে-সরকারী স্তরে রক্তদান শিবিরের মাধ্যমে খোয়াই জিলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত দেওয়া হচ্ছে৷ রক্তদান মহৎ দান৷ এই স্লোগানে আর্তের সেবায়, মুমুর্ষ রোগীদের জীবন বাঁচানোর তাগিদে রক্তদানে এগিয়ে আসছে সমাজের সকল অংশের, সকল স্তরের মানুষ ৷ কিন্তু মঙ্গলবার খোয়াই ব্লাড ব্যাঙ্ক থেকেই এক মহিলাকে শূণ্য হাতে ফিরতে হল৷
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, খোয়াই অফিসটিলা নিবাসী পুষ্পা ঘোষ নামে এক মহিলা মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩ টা অবধি জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের সামনে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে রইলেন৷ কি কারণে? উনার এ পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন৷ সকাল থেকে দুপুর হয়ে গেলেও ব্লাড ব্যাঙ্কের ইনচার্জকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি৷ টানা তিন ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকার পর অবশেষে ফোনে পাওয়া গেলে ব্লাড ব্যাঙ্কের ইনচার্জ সুদীপ বাবুকে৷ তিনি ততক্ষনে মহিলাকে ৭ দিন বাদে যোগাযোগ করার জন্য বললেন৷ অথচ খোয়াই জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের বোর্ডে স্পষ্টতই লিখা ছিল, এ পজিটিভ রক্ত স্টোরে রয়েছে ১৩ খানা প্যাক৷ এটাই কি রক্তদান শিবিরের সাফল্য? এর জন্যই কি রক্তদান করা হচ্ছে? প্রশ্ণ জনমনে৷
এবিষয়ে ড রনেন্দ্র বর্মনের সাথে মহিলার যোগাযোগ হলে তিনি এমএস ড ধনঞ্জয় রিয়াংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করে বলেন৷ প্রকৃতপক্ষে যে কারনে রক্তদান, সেই কারনটাই আজ উপেক্ষিত হল৷ শেষ পর্যন্ত মহিলার ছেলে রাজু ঘোষও নিজের ক্ষোভ ব্যাক্ত করেন৷ খোয়াই জিলা হাসপাতালের কর্মসংসৃকতি নিয়ে ক্ষোভ নতুন কিছু না হলেও, ব্লাড ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রক্ত যদি সময় মতো রোগীর কাজেই না আসে তবে জনগন যাবে কোথায়? এনিয়েই জনমনে ক্ষোভ ধূমায়িত হচ্ছে৷ প্রশ্ণ উঠছে ব্লাড ব্যাঙ্কের ইনচার্জের ভূমিকা নিয়েও৷