বিমান পরিষেবা সম্প্রসারণ নিয়ে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রস্তাব

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১০ সেপ্ঢেম্বর৷৷ গত ৩০ আগস্ট কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী জয়ন্ত CM MANIKসিনহা রাজ্য সফরে এসে মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন৷ ঐ বৈঠকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আবেদন রাখা হয় যে, এই বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আগরতলা বিমান বন্দরের নতুন টার্মিনাল বিল্ডিং, রানওয়ে সম্প্রসারণ সহ অন্যান্য কাজ দ্রুত শুরু করা হোক৷ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজন মত প্রথমে ৭৬৭০৩ একর জমি এবং পরে অতিরিক্ত ৪২১ একর জমি অধিগ্রহণ করে দেওয়া হয়েছে৷ গতকাল সন্ধ্যায় মহাকরণে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান পরিবহনমন্ত্রী মানিক দে৷ তিনি আরো বলেন, র াজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কৈলাসহর ও কমলপুর বিমান বন্দর পুনরায় চালু করার দাবি রাখা হয়৷ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কৈলাসহর ও কমলপুর বিমান বন্দর পুনরায় চালু করার দাবি র াখা হয়৷ রাজ্য সরকারের তরফে প্রাথমিক গুরুত্ব হিসেবে কৈলাসহর বিমান বন্দরে যাতে ছোট বিমান পরিষেবা চালু করা যায় তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের নিকট আবেদন রাখা হয়৷ উক্ত বৈঠকে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ব্যবহার ব্যয়সাপেক্ষ৷ তাই রাজ্যের সাধারণ মানুষের পক্ষে এই পরিষেবা নেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়বে৷ রাজ্যের মানুষের সুবিধার্থে আরো একটি এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান বাড়ানোর জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নিকট আবেদন রাখা হয়৷
মন্ত্রী মানিক দে আরো বলেন, রাজ্যের ২০টি নগর এলাকার ৪২ হাজার ৮৯৬ টি পরিবারে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হবে৷ ঘর নির্মাণে প্রতিটি পরিবারকে মোট ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ৬৬৬ টাকা করে দেওয়া হবে৷ এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের শেয়ার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আর রাজ্য সরকারের শেয়ার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আর রাজ্য সরকারের শেয়ার ১৬ হাজার ৬৬৬ টাকা৷ সুবিধাভোগী নির্বাচনের জন্য ২০ টি নগর সংস্থায় প্রস্তাবিত সুবিধাভোগীদের তালিকা টাঙ্গানোর জন্য ইতিমধ্যেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এখন পর্যন্ত ১২টি নগর সংস্থায় প্রস্তাবাতি সুবিধাভোগীদের তালিকার উপর ২৩৪১টি দাবি এবং ৩৬১টি আপত্তি জমা পড়েছে৷ এর মধ্যে ১২৫১টি দাবি এবং ১৬১টি আপত্তি গৃহীত হয়েছে৷ দাবি ও আপত্তি গৃহীত হওয়ার পর প্রতিটি নগর সংস্থায় সুবিধাভোগীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে বলে মন্ত্রী মানিক দে সাংবাদিকদের জানান৷