রাজ্যে শিশু মৃত্যুর হার কমেছে দেওয়া হল দ্বিতীয় পুরস্কার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ই সেপ্ঢেম্বর৷৷ রাজ্যে শিশু মৃত্যুর হার ক্রমেই কমছে৷ ২০১২ সালে যেখানে এই সংখ্যা ছিল ২৮ national-health-missionশতাংশ৷ ২০১৩ সালে তা এসে পৌঁছায় ২৬ শতাংশে৷ ২০১৪ সালে তা আরও কমে গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২১ শতাংশে৷ জাতীয় ক্ষেত্রে এই হার ২০১৪ সালে হচ্ছে ৪০ শতাংশ৷ এই ক্ষেত্রে রাজ্যের সাফল্যের স্বীকৃতি হিসাবে ত্রিপুরাকে দ্বিতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়েছে৷ এক্ষেত্রে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে নাগাল্যান্ড৷ আজ বিকালে এক সাংবাদিক সম্মেলনে নেশন্যাল হেলথ মিশন ডিরেক্টর ডাঃ শৈলেশ কুমরা যাদব এই সংবাদ জানিয়েছেন৷ তিনি জানান, গত আর্থিক বছরে ন্যাশনাল হেলথ মিশন খাতে সময়মতো অর্থ খরচ করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ত্রিপুরাকে অর্থ বরাদ্দ খাতে ১ শতাংশ ইনসেনটিভ দিয়েছে৷ মিশন ডিরেক্টর জানান, শিশু মৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্যে রাজ্যে ১০টি মায়ের ঘর চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল৷ এর মধ্যে ৬টি ইতিমধ্যেই স্থাপিত হয়েছে৷ ধলাই জেলায় ২টি, উত্তর জেলায় ২টি এবং গোমতী জেলায় ২টি মায়ের ঘর ইতিমধ্যেই স্থাপিত হয়েছে৷ অবশিষ্ট ৪টি খুব শীঘ্রই চালু করা হবে৷ তিনি জানান প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে রাজ্যে সন্তান প্রসবের হার ক্রমেই বাড়ছে৷ এইচ এম আই এস -এর রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে এই হার বর্তমানে ৮৯ শতাংশ, জাতীয় ক্ষেত্রে যা ৮০ শতাংশ৷ ডাঃ যাদব জানান, ২০১৪ সাল থেকে রাজ্যে রাষ্ট্রীয় বাল স্বাস্থ্য কার্যক্রম (আর বি এস কে) শুরু হয়েছে৷ এতে শূন্যে থেকে ১৯ বছরের বয়সীদের জন্য নানা জটিল রোগের জন্য সম্পূর্ণ বিনামূুল্যে চিকিৎসা করা হয়ে থাকে৷ এই প্রকল্পটি সুষ্ঠুভাবে রূপায়ণের জন্য সারা রাজ্যে ২২টি দল গঠিত হয়েছে৷ বিভিন্ন বিদ্যালয় এবং অঙ্গনওয়াড়ী কেন্দ্রকে ভিত্তি করে তাার নির্দিষ্ট কয়েকটি জটিল রোগে আক্রান্তদের চিহ্ণিত করে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করে থাকে৷ আই এল এস হাসপাতালে এই প্রকল্পে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা হচ্ছে৷ এখন পর্যন্ত আর এস বি কে প্রকল্পে ৩৯ জনের হার্ট অপারেশন করা হয়েছে৷