নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ সেপ্ঢেম্বর৷৷ রাত পোহালেই শিক্ষক দিবস৷ আর শিক্ষক দিবসেই চাকুরিচ্যুত শিক্ষকদের মামলার শুনানি হবে৷ দীর্ঘদিন যাবত এই মামলা সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার কোর্টে চলছে৷ সোমবার সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে উঠতে চলেছে৷ এই মামলার শুনানি নিয়ে রাজ্যের শিক্ষক মহল সহ গোটা রাজ্যবাসী উৎসুক হয়ে রয়েছেন৷
১০,৩২৩ জন শিক্ষকের চাকুরিচ্যুতি মামলার শুনানি সোমবার পর্যন্ত স্থগিত হয়ে গিয়েছিল৷ শুক্রবার মামলাটি ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল৷ সুপ্রিম কোর্টের রাজ্যের স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ৫নং কোর্টে ৫নং আইটেম হিসেবে মামলাটি রয়েছে৷ কিন্তু এদিন রেজিস্টার কোর্টে ওঠার পর তা সোমবার পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের মাননীয় বিচারপতি যষ্ঠী চলমেশ্বর এবং মাননীয় বিচারপতি অভয় মনোহর সাপ্রের ডিভিশন বেঞ্চে সোমবার মামলাটি উঠবে৷ রাজ্য সরকারের পক্ষে আইনজীবী আদালতকে অবহিত করবেন যে মামলার সব পক্ষভুক্তকে নোটিশ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং সংবাদপত্রে বিজ্ঞাপন দিয়েও প্রচার করা হয়েছে৷ এবার মামলার শুনানি শুরু হোক৷ স্ট্যান্ডিং কাউন্সেল জানিয়েছেন, ডিভিশন বেঞ্চ আইনজীবীদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হলে মূল মামলার শুনানির তারিখ ধার্য করতে পারেন৷
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ত্রিপুরা হাইকোর্টের মুখ্যবিচারপতি দীপক গুপ্তা এবং বিচারপতি এস সি দাসের ডিভিশন বেঞ্চ এক আদেশে ২০১০ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত নিযুক্ত হওয়া সব সরকারি শিক্ষকের নিযুক্তি বাতিল করে দেয়৷ অস্নাতক,স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর মিলিয়ে ১০,৩২৩ জন শিক্ষকের চাকুরিচ্যুতির নির্দেশ দেয় ত্রিপুরা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ৷ হাইকোর্টের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে তিনটি স্পেশাল লিভ পিটিশন করা হয় সুপ্রিম কোর্টে৷ একটি করে রাজ্য সরকার, আরেকটি করে ক্ষতিগ্রস্ত মামলায় পক্ষভুক্ত শিক্ষকরা এবং অন্যটি করেন মামলায় পক্ষভুক্ত নন অথচ রায়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন শিক্ষকরা৷ এই পিটিশনের ভিত্তিতে সুপ্রিমকোর্ট হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল৷