নিজস্ব প্রতিনিধি, অমরপুর, ৩১ আগষ্ট৷৷ নানাধিক সমস্যায় জর্জরিত ছাত্রাবাসের ছাত্ররা বুধবার যতনবাড়ী আইটিআই এর প্রিন্সিপালকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷ ছাত্রদের চাপের মুখে আইটিআই এর অধ্যক্ষ কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বাধ্য হয়৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠে শিল্প প্রশিক্ষন কেন্দ্রের পরিবেশ৷
অমরপুর ও করবুক মহকুমার একমাত্র শিল্প প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি যতনবাড়ীতে অবস্থিত৷ ওই আইটিআই-তে দুটি মহকুমা ছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে যুবকরা প্রশিক্ষণ নিতে আসে৷ দূরবর্তী ছাত্রদের থাকার জন্য আইটিআই এর পাশেই একটি ছাত্রবাস থাকলেও বর্তমানে এটি ভূত বাংলোতে পরিণত হয়ে আছে৷ গভীর জঙ্গলে ডাকা পরে আছে ছাত্রাবাসটি৷ তবে বর্তমান ছাত্রাবাসটির প্রধান সমস্যা হল জলের অভাব৷ পানীয় জল কিংবা স্নানের জল কোন কিছুই ঠিকমত পাওয়া যায় না৷ জলের জন্য তীব্র হাহাকার লেগে থাকলেও আইটিআই কর্তৃপক্ষের কোন হেলদোল নেই বলে অভিযোগ৷ ছাত্রদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন যাবত ছাত্রাবাসে পানীয় জলের সমস্যার কথা বহুবার যতনবাড়ী আইটিআই-এর অধ্যক্ষকে জানানো হলেও তিনি কোন কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না৷ তিনি শুধু হচ্ছে হবে বলে ছাত্রদের সান্তনা দিয়ে যাচ্ছেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না৷ এদিকে টানা চারদিন যাবত ছাত্রাবাসে এক ফোটা জলও সরবরাহ করা হয়নি৷ যার ফলে মঙ্গলবার রাতে জলের অভাবে ছাত্ররা ভাত পর্যন্ত খেতে পারেনি৷ রাতে ছাত্ররা তাদের দূরাবস্থার কথা আইটিআই এর অধ্যক্ষকে অবগত করলেও তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি বলে অভিযোগ৷ যার ফলস্বরূপ বুধবার সকাল এগারটা নাগাদ ছাত্রাবাসের বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা যতনবাড়ী আইটিআইএর অধ্যক্ষকে ঘেরাও করে৷ অধ্যক্ষ হিমাদ্রী শেখর নাথের কক্ষে ঢুকে ছাত্ররা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে৷ প্রথম অবস্থায় অধ্যক্ষ ছাত্রদের উপর উত্তেজিত হয়ে উঠলেও পরবর্তী সময় ছাত্রদের দাবী মানতে বাধ্য হন৷ ছাত্রদের চাপে পরে অধ্যক্ষ সরজমিনে ছাত্রাবাসটি পরিদর্শন করেন৷ জলের অভাবে ছাত্রাবাসের ভিতরে নরক হয়ে রয়েছে৷ শৌচাগারগুলি সম্পূর্ণ ব্যবহার অযোগ্য হয়ে পরে রয়েছে৷ মোট কথায় ৫৪ জন ছাত্র সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক ভাবে ছাত্রাবাসটিতে জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছে৷ এমনকি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রেও জলের কোন ব্যবস্থা নেই৷ ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, হিমাদ্রী শেখর নাথ অধ্যক্ষ হয়ে আসার পর থেকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও ছাত্রাবাসটির অবস্থা বেহাল হয়ে রয়েছে৷ কোন সমস্যা সমাধানে তিনি কার্যকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না বলে অভিযোগ৷ তবে বুধবার ছাত্র বিক্ষোভের মুখে পরে অধ্যক্ষ পানীয় জল ও স্বাস্থ্য বিধান দপ্তরে খবর দিলে দপ্তরের এক ইঞ্জিনিয়ার, ঘটনাস্থলে গিয়ে পানীয় জলের সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন৷ যার পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্ররা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন৷ কিন্তু দ্রুত সমস্যার সমাধান না হলে ছাত্ররা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলবেন বলে হুমকি দেন৷
2016-09-01