বিমান ভাড়া বৃদ্ধিতে উদ্বিগ্ণ রাজ্য হস্তক্ষেপের আর্জি জানাল কেন্দ্রে

flightmmmনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১১ জুলাই৷৷ আগরতলা থেকে বর্হিরাজ্যে বিমানের ভাড়া অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গেছে৷ ফলে, কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রীর দরবারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে হস্তক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী মানিক দে৷ এবিষয়ে এক চিঠিতে রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রীকে জানিয়েছেন, আগরতলা থেকে কলকাতা অথবা আগরতলা থেকে গুয়াহাটি রুটের ভাড়া ৮-১০ হাজার টাকা হয়ে গেছে৷ হঠাৎ এই বিমান ভাড়া বৃদ্ধিতে রাজ্যবাসী মহাসংকটে পড়েছেন৷ বিশেষ করে বর্হিরাজ্যে ভর্তির জন্য যেসকল ছাত্রছাত্রীরা এবং চিকিৎসার জন্য যারা যেতে চাইছেন তারা মহা সমস্যায় পড়েছেন৷ হঠাৎ বিমানের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় তাদের পক্ষে বর্হিরাজ্যে যাওয়া সম্ভব হয়ে উঠছে না৷ এমনিতেই জাতীয় সড়কের অবস্থা বেহাল৷ তার উপর রেল যোগাযোগও ছিন্ন হয়ে পড়েছে৷ স্বাভাবিকভাবেই বর্হিরাজ্যে যেতে গেলে এখন একমাত্র মাধ্যম বিমান৷ ফলে, বিমানের ভাড়া যাতে কমানো যায় সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী৷
এছাড়াও চিঠিতে তিনি দাবি জানান, রাজ্যে আরো বিমানের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন৷ সম্প্রতি দুটি বিমান বেড়েছে৷ কিন্তু তাও যথেষ্ট নয়৷ ফলে, রাজ্যবাসীর কথা মাথায় রেখে বিমানের সংখ্যা আরো বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন পরিবহনমন্ত্রী৷ এরই পাশাপাশি এয়ার এশিয়া এবং ভিস্তারা এই দুটি বিমান সংস্থাকে আগরতলা থেকেও বিমান পরিষেবা চালু করার জন্য পরিবহনমন্ত্রী চিঠি পাঠিয়ে অনুরোধ করেছেন৷ পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে লেখা চিঠিতেও এই দুটি বিমান সংস্থার বিমান পরিষেবা আগরতলা থেকে চালু করার বিষয়ে হস্তক্ষেপের অনুরোধ জানিয়েছেন৷
সোমবার মহাকরণে পরিবহনমন্ত্রী মানিক দে জানিয়েছেন, বিমান পরিষেবায় কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকায় বিমান সংস্থাগুলি যেমন খুশিভাবে ভাড়া বাড়িয়ে দেয়৷ বাস কিংবা রেল পরিষেবায় সরকারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে৷ ফলে, ঐ পরিষেবাগুলিতে যখন যেমন খুশি ভাড়া বাড়ানো হয় না৷ এদিন তিনি বলেন, অবিলম্বে বিমান পরিষেবাতেও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা উচিত৷ তাতে, বিমান ভাড়া সংস্থাগুলির মর্জিমাফিক হবে না৷
এদিন তিনি আরো জানিয়েছেন, আগরতলা-আখাউড়া রেল প্রকল্পে জমি অধিগ্রহণ বাবদ ৯৭ কোটি টাকা মিলেছে৷ সে অনুযায়ী পশ্চিম ত্রিপুরা জেলাশাসক জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে৷ খুব শীঘ্রই জমি অধিগ্রহণ করা হবে৷ তবে তাতে, ৬-৭ মাস সময় লাগবে৷
এদিন পরিবহনমন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়কের খুবই খারাপ অবস্থা৷ ক্রমাগত বৃষ্টিপাতে সংস্কার কাজ থমকে গেছে৷ সোমবার ৮নং জাতীয় সড়ক (সাবেক ৪৪নং জাতীয় সড়ক) দিয়ে ১১টি গাড়ি রাজ্যে প্রবেশ করেছে৷ এছাড়া কাঁঠালতলী দিয়ে ৪৮টি গাড়ি রাজ্যে প্রবেশ করেছে৷ এর মধ্যে পেট্রোলের ৫টি, ডিজেলের ৬টি ট্যাঙ্কার এবং এলপিজির ৩টি বুলেট বাহী গাড়ি ছিল৷