BRAKING NEWS

পাহাড়ে আইপিএফটি সমতলে বিজেপি ও তৃণমূলকে ঠেকাতে শক্তির সন্ধানে সিপিএম

CPIM STATEনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ জুন৷৷ পাহাড়ে পৃথক রাজ্যের দাবীদার আইপিএফটি, অন্যদিকে সমতলে বিজেপি এবং তৃণমূলের দাপাদাপি৷ এই রাজনৈতিক দলগুলিকে প্রতিরোধ করার জন্য শক্তির সন্ধানে নেমেছে সিপিএম৷ পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠকে জোর আলোচনা হয়েছে৷ ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিজেপি ও তৃণমূলকে আটকানোর প্রাথমিক রূপরেখা সহ দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিষয়ে সিপিএম রাজ্য কমিটি এক গুচ্ছ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷
সোমবার সিপিএম রাজ্য কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে মেলারমাঠস্থিত প্রধান কার্য্যালয়ে৷ সূত্র অনুসারে জানা গিয়েছে, এই বৈঠকে আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে, দলের যুব সমাজের বৃহৎ অংশ সহ নতুন মুখ তুলে আনার বিষয়ে৷ এছাড়া পশ্চিমবাংলায় কংগ্রেস সিপিএম জোটের বিষয়টিও বৈঠকে প্রাধান্য পায়৷ রাজ্যে রাজনীতির পট পরিবর্তনের ফলে নতুন রণকৌশল নিতে বাধ্য হয়েছে সিপিএম৷ এই রাজ্যের সিপিএমের বিকল্প কেউ ছিল না৷ কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে বিজেপির ডালপালা বিস্তার ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের পর তৃণমূলের নতুন সূর্য্যোদয় সিপিএম শিবিরে আতঙ্ক ধরিয়ে দিয়েছে৷ তাছাড়া দলের নীচু স্তরে কর্মী সমর্থকদের ক্ষোভ বিক্ষোভ প্রতিদিনই লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ সম্প্রতি বেশ কিছু স্থানে সিপিএমে ভাঙনও দেখা গিয়েছে৷
এই অবস্থায় দলের সাংগঠনিক শক্তি সহ ভোটের ময়দানে প্রতিপক্ষকে কুপোকাঁৎ করার বিষয়ে সোমবার বৈঠকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছে সিপিএম৷ দলের বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছেন দল বিরোধী কার্যকলাপে যুক্ত৷ এইসব নেতাদের সনাক্ত করেছে দলের রাজ্য নেতৃত্ব৷ এদিকে, আগামী ৯ আগষ্ট মমতা ব্যানার্জীর ত্রিপুরা সফরে আসলে দলের উপর কি প্রভাব পড়তে পারে এই সংক্রান্ত বিষয়েও আলোচনা হয়েছে৷ পাহাড়ে আইপিএফটির বাড়বাড়ন্তকে কিভাবে মোকাবিলা করা যায় তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র অনুসারে জানা গিয়েছে৷ তাছাড়া শরিকি বিবাদের বিষয়টিও আলোচনায় উঠেছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে৷
এদিকে, সিপিএম রাজ্য কমিটির এদিনের বৈঠকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে রাজ্যে বেকারদের চাকুরী দেওয়ার বিষয়েও৷ চাকুরী প্রদানের ক্ষেত্রে ব্যাপক হারে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে৷ তাতে দলের যুব ব্রিগেডের মধ্যে রীতিমতো চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে৷ যুব সম্প্রদায়কে দলে টানার ক্ষেত্রে বিশেষ করে সাংগঠনিক কাজে যুক্ত করার ক্ষেত্রে অনেকটাই কাঠখড় পুড়াতে হচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চল কমিটিকে৷ তাই এই বিষয়ে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা যে প্রয়োজন তা রাজ্য কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে বলে সূত্র অনুসারে জানা গিয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *