নিজস্ব প্রতিনিধি, উদয়পুর, ১৭ জুন৷৷ জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে দুই পরিবারে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে গোমতী

জেলার আর কে পুর থানার অধীন শালগড়া৷ ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুজন গুরুতর জখম হয়েছেন৷ একজনের অবস্থা সঙ্কটজনক৷ আগরতলায় জি বি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন৷ সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় টগবগ করছে শালগড়া৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য সেখানে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল নিরাপত্তা বাহিনী৷ আর কে পুর থানার পুলিশ স্বতপ্রনোদিত একটি মামলা নিয়েছে৷ গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজনকে৷ উদ্ধার করা হয়েছে দা সহ অন্যান্য ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা৷
সংবাদ সূত্রে জানা গিয়েছে, শালগড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নম্বর ওয়ার্ডের ঘোড়াটিলা এলাকা৷ সম্প্রদায়গত দিক থেকে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মিশ্র বসতি ঐ ঘোড়াটিলা৷ সেখানকার বাসিন্দা মনির হুসেন এবং বাদল হুসেন শুক্রবার সকালে নিজ বাড়ির পাশেই তাদের পূর্বপুরুষদের কবরস্থান পরিস্কার করছিল৷ তখনই প্রতিবেশী পূর্ণ দে, ক্ষিতীষ দে, বাবুল দে এবং মানিক দে সহ দে পরিবারের পাঁচ ভাই ঐ মনির ও বাদলের সঙ্গে বিবাদে লিপ্ত হয়৷ তাদের মধ্যে প্রথমে তর্ক বিতর্ক হয়৷ একসময় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়৷
দে পরিবারের পাঁচ ভাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা নাকি বাড়ি থেকে ধারালো দা, কুড়াল ও লাঠিসোটা নিয়ে সংঘবদ্ধ ভাবে মনির ও বাদল এর উপর হামলা চালায়৷ ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি আঘাত করা হয় মনির ও বাদালের উপর৷ তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে এবং মাথায় আঘাত লাগে৷ রক্তাক্ত অবস্থায় আক্রান্ত দুই ভাই মাটিতে লুটিয়ে পড়ে৷ সঙ্গে সঙ্গেই তাদরে পরিবারের লোকজন খবর দেয় আর কে পুর থানায়৷ পুলিশ ঘটনস্থলে পৌঁছার আগেই আহত দুই ভাইকে উদয়পুর টেপানিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ সেখান থেকে মনির হুসেনকে আগরতলায় জি বি হাসপাতালে রেফার করা হয়৷ মনির হুসেনের মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত মারাত্মকভাবে লাগে৷ বর্তমানে জি বি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে মনির হুসেন৷ অন্যদিকে টেপানিয়াস্থিত ত্রিপুরা সুন্দরী জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷
ঘটনার খবর পেয়ে আর কে পুর থানার পুলিশ শালগড়া গ্রামের দুই নম্বর ওয়ার্ড ঘোড়াটিলায় যায়৷ সেখানে পৌঁছলে পুলিশের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মনির হুসেন ও বাদল হুসেনের আত্মীয় স্বজনরা৷ তারা আক্রমণকারীদের বাড়িতে পাল্টা হামলা চালানোর পরিকল্পনা নেয়৷ পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে৷ একই সঙ্গে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হামলায় অভিযুক্ত একজনকে৷ তার নাম মানিক দে৷ হামলাকরীদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাসী চালিয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে ধারালো দা, কুড়াল লাঠিসোটা ইত্যাদি৷ এই হামলার বিষয়টি অতি স্পর্শকাতর বিবেচনা করে আর কে পুর থানার পুলিশ সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য টিএসআর ও পুলিশ মোতায়েন করেছে৷ পুলিশের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য৷