নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৬ মে৷৷ গত কয়েকদিনের ঝড় বৃষ্টিতে সারা রাজ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে৷ এর মধ্যে কেবল বিদ্যুৎ নিগমের ক্ষতির পরিমান ৫ কোটি ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার ১২৪ টাকা৷ এযাবৎকালের মধ্যে এবছরের ক্ষয়ক্ষতির পরিমান সর্বাধিক বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী মানিক দে৷ রাজ্যের আটটি জেলাতে বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে৷ পশ্চিম জেলায় ক্ষতির পরিমান সর্বাধিক৷ এই জেলাতে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ ৫ হাজার ১১ টাকার সম্পদ নষ্ট হয়েছে ঝড় বৃষ্টিতে৷ এদিন বিদ্যুৎ মন্ত্রী জানিয়েছেন গোটা রাজ্যে মোট ২৭০৩ টি বিদ্যুতের খঁুটি ভেঙে পড়েছে, ৩০০ টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে এবং ৬০৬৮ সার্কিট কিলোমিটার বিদ্যুৎ পরিবাহি তার তছনছ হয়ে গিয়েছে৷ তবে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে৷ যথাশীঘ্র পরিষেবা স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী৷
এদিন তিনি জানিয়েছেন, রাজ্য এখন লোডশেডিং মুক্ত৷ কিছু কিছু স্থানে বিদ্যুৎ বিপর্য্যয় মূলত ঝড় বৃষ্টির কারণে হয়ে থাকে৷ তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যে বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী যোগান রয়েছে৷ নিজস্ব উৎপাদন এবং পালাটানা ও অন্যান্য জায়গা থেকে শেয়ার বাবদ বিদ্যুতের বাইরে প্রয়োজনীয় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ক্রয় করা হচ্ছে৷ এদিন তিনি জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা ছিল আড়াইশ মেগাওয়াট৷ একশ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে৷ ফলে, রাজ্যে মোট বিদ্যুতের চাহিদা সাড়ে তিনশ মেগাওয়াট৷ এক্ষেত্রে নিজস্ব উৎপাদন নববই মেগাওয়াট এবং পালাটানা দুইটি ইউনিট থেকে রাজ্যের শেয়ার বাবদ মিলেছে একশ উনত্রিশ মেগাওয়াট৷ অন্যান্য শেয়ার থেকে মিলেছে পঞ্চাশ মেগাওয়াট৷ ফলে বাকি বিদ্যুৎ বহিঃরাজ্য থেকে ক্রয় করে আনা হয়েছে৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, পালাটানায় গ্যাস সরবরাহে ঘাটতির মধ্যে থেকে এদিন চারশ চুরাশি মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে৷ পর্যাপ্ত গ্যাস সরবরাহ করা হলে উৎপাদন আরও বেড়ে যেত৷ কিন্তু, ওএনজিসি সেই গ্যাস পর্যাপ্ত পরিমানে সরবরাহ করতে পারছে না৷ মনারচকেও একই অবস্থা৷ তিনি জানান, মনারচকে বাণিজ্যিক উৎপাদন পুরোদমে শুরু হলে রাজ্যের শেয়ার হিসেবে সেখান থেকেও বিদ্যুৎ মিলবে৷ তখন বহিঃরাজ্য থেকে বিদ্যুৎ আরও কম ক্রয় করতে হবে৷
2016-05-17