নিজস্ব প্রতিনিধি, তেলিয়ামুড়া, ১৩ মে৷৷ তেলিয়ামুড়ার হদ্রাইয়ের দার্জিলিং টিলার জুলি জমাতিয়া হত্যাকান্ডের রহস্য উদ্ঘাটন

করতে সফল হয়েছে পুলিশ৷ এই হত্যাকান্ডের পেছনে রয়েছে ত্রিকোণ প্রেম৷ জুলিকে খাকচাং মুন্ডা নামে এক যুবক প্রেম প্রস্তাব দিয়েছিল৷ এই প্রস্তাব খারিজ করে দেয় জুলি৷ থাইলান জমাতিয়া নামে এক কিশোরের সাথে জুলির প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল৷ প্রেম প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় খাকচাং মুন্ডা ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্র করে জুলিকে শেষ করে দেওয়ার৷ সেই মোতাবেক জুলির বান্ধবী করিণা জমাতিয়া সহ আরও পাঁচজনকে তার সাথে নেয়৷ করিণা ঐদিন সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ জুলিকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসে ফুসলিয়ে৷ তারপর তারা দার্জিলিং টিলা থেকে দুস্কি বাজারে গিয়ে সেখান থেকে ডেনড্রাইট ও কলা কিনে৷ তারপর দার্জিলিং টিলার শ্মশান সংলগ্ণ এলাকায় সবাই মিলে নেশা করে৷ নেশায় বঁুদ হয়ে একসময় খাকচাং মুন্ডা জুলি জমাতিয়ার মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করে৷ তারপর তাকে টেনে নিয়ে যায় পাশের ক্ষেতে৷ সেখানে সবাই খাকচাং ও তার সাকরেদরা গণধর্ষণ করে জুলিকে হত্যা করে৷ শুক্রবার খাকচাং এবং করিনাকে পুলিশ আদালতে তোলে৷ আদালত করিণাকে জুভেইনাল হোমে পাঠায়৷ অন্যদিকে খাকচাংকে রিমান্ডে পাঠায়৷ পুলিশের জেরায় খাকচাং গোটা ঘটনা সবিস্তারে জানিয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গিয়েছে৷
গত মঙ্গলবার দুপুরবেলা তেলিয়ামুড়া থানাধীন হদ্রাইয়ের দার্জিলিং টিলা এলাকায় ১৬ বছরের নাবালিকা মেয়েকে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে হত্যা করে একটি পরিত্যক্ত ক্ষেতে ফেলে যায় তারই এলাকার কয়েকজন যুবক সহ এক যুবতী৷ তিনদিন কেটে গেলেও গ্রেপ্তার নেই একজন৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি রাজ্য মোর্চার মহিলা প্রতিনিধির একটি দল শুক্রবার৷ ঐ মৃত নাবালিকার পরিবারে পরিদর্শনে যান৷ এবং মা-বাবাকে আশ্বাস দেন দ্রুত আসামীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে চাপ দে ন বিজেপি মহিলা মোর্চা৷ ১০ জনের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিজেপি মহিলা মোর্চার রাজ্য সভাপতি দীপা ভট্টাচার্য, বিজেপি তেলিয়ামুড়া মন্ডল কমিটির সভাপতি নির্মল রুদ্রপাল সহ অন্যান্যরা৷ অপরদিকে বিজেপি মহিলা মোর্চা দলটি ঐ মৃত নাবালিকার পরিবারে দীর্ঘক্ষণ বসেন এবং সমবেদনা জ্ঞাপন করেন৷ এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির জন্য প্রশাসনের উপর মহলেও কথা বলবেন৷ অপরদিকে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজ জিজ্ঞাসাবাদে সাতজনের মধ্যে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে৷ তার নাম খাকচাং মুন্ডা(১৯)৷ চলছে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ৷