কর ফাঁকি দিয়ে আসা বিস্তর পরিমান সামগ্রী বোঝাই আটটি গাড়ি আটক

SEIZEDনিজস্ব প্রতিনিধি, চুরাইবাড়ি,  ১২ মে৷৷ ফের বিকল্প জাতীয় সড়ক দিয়ে বিস্তর পরিমাণ করযুক্ত সামগ্রী রাজ্যে প্রবেশের সময় আটক৷ বিক্রয়কর দপ্তরের ভূমিকায় ক্ষোভ সাধারণ জনগনের৷ বিবরণে প্রকাশ গত ১০ মে ভোর ৬টা নাগাদ অসম ত্রিপুরার বিকল্প জাতীয় সড়ক দিয়ে আটটি ছোট মালবাহী গাড়ী করযুক্ত বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করে৷ অসম থেকে ত্রিপুরায় প্রবেশের সময় গাড়ী প্রতি একহাজার টাকা করে মোট আট হাজার টাকা চুরাইবাড়ি বিক্রয়করদপ্তরের ডিউটি অবস্থায় থাকা ইন্সপেক্টরদের প্রণামী দিয়ে প্রবেশ করে৷ কিন্তু কদমতলা থানার কাছে গোপন সংবাদ ছিল ঐ আটটি ছোট মালবাহী গাড়ী করযুক্ত সামগ্রী নিয়ে কর ফাঁকী দিয়ে সম্পূর্ণ অবৈধ্য ভাবে প্রবেশ করছে৷ ঐ আটটি গাড়ীকে ধাওয়া করে পুলিশ ততক্ষণে বিক্রয়করদপ্তরের ঘোষকোর কর্মীরা সম্পূর্ণ নাটকিয় ভাবে কদমতলা থানার সাথে যোগাযোগ করে ঐ গাড়ীগুলি আটকানোর জন্য৷ অসম ত্রিপুরা সীমান্ত এলাকা ঝেরঝেরী এলাকা থেকে করফাঁকী দিয়ে আসা আটটি মালবাহী গাড়ী আটক করে পুলিশ ও বিক্রয়করদপ্তরের ঘোষকোর ইন্সপেক্টররা৷ সাথে সাথে নিয়ে যাওয়া হয় চুরাইবাড়ি বিক্রয়করদপ্তরের কমপ্লেক্সের ভিতর৷ আটককৃত করযুক্ত মালবাহী গাড়িগুলি হল তিনটি ডি আই গাড়ী৷ যার নম্বর এন ডি ২০৬২৩৬, এ এস ১০সি ৬৮৫১, এ এস ১০সি ২৮২৬ তিনটি টাটা ম্যজিক গাড়ী৷ যার নম্বার এ এস১০সি ৩০৩৯, এ এস১১এএসি ০২২৫, এ এস ১০সি ৬৯২৩ এবং একটি বলেরো, যার নম্বার এ এস ১০সি৬৪৩৩৷ সবগুলি গাড়ী অসমের পাথারকাঞ্চী এলাকার৷ এদিকে করযুক্ত পন্যসামগ্রী বোঝাই আটটি গাড়ীগুলির মালের টেক্স এবং পেনালটির টাকা প্রায় অর্ধকোটি টাকার অধিক৷ কিন্তু চুরাইবাড়ি বিক্রয়করদপ্তরের ঘোষকোর গুণধর সুপারটেন্ড দিবেন্দু দে ঐ পন্যসামগ্রীর টেক্স  ও পেনালাটি বত্রিশ লক্ষের মত দাড়করিয়েছেন৷ এদিকে চুরাইবাড়ি বিক্রয়করদপ্তরের একটি বিশ্বস্থ সূত্রে খবর৷ অসম থেকে ত্রিপুরা রাজ্যে বিকল্প সড়কদিয়ে প্রতিদিন প্রায় চল্লিশের অধিক ছোটগাড়ি করযুক্ত সামগ্রী নিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে করফাঁকি দিয়ে রাজ্যে প্রবেশ করছে৷ আর তাতে রাজ্যে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্বকর মারখাচ্ছে৷ আর মুনাফা হচ্ছে চুরাইবাড়ি বিক্রয়করদপ্তরের ঘোষকোর সুপারটেন্ট দিবেন্দু দের৷ দিবেন্দু বাবু যেদিন চুরাইবাড়ি সুপারটেন্ডের দায়িত্ব পেয়েছেন সেদিন উনার সকল ইন্সপেক্টরদের গাড়ি প্রতি এক হাজার টাকা নিয়ে গাড়ী ছেড়ে দিতে৷ উনার নাকি শুধু টাকা লাগে৷ ঐ আটটি গাড়ীর ক্ষেত্রেও একই ঘটনা ঘটেছিল কিন্তু শেষ রক্ষা হলনা৷ সূত্রটি আরও জানায়, ঐ আটটি ছোট মালবাহী গাড়ি অসমের করিমগঞ্জ থেকে করযুক্ত সামগ্রী নিয়ে ত্রিপুরার ধর্মনগরের উদ্দেশ্যে আসছিল৷ সম্পূর্ণ মালগুলি সাপ্লাই দিয়েছেন পাথারকাঞ্চির কবির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি৷ গাড়ীগুলি আটক হওয়ার পর অবৈধ্যভাবে ছেড়ে দেওয়ার জন্য সুপারটেন্ড বাবু দিবেন্দুকে মোটা অঙ্কের একটা টাকা দেওয়া হয়৷ অপরদিকে স্থানীয় শাসকদলীয় এক নেতা ও এক তকমাদারি সাংবাদিককেও মোটা অঙ্কের প্রণামী দিয়ে মুখ বন্ধ হয়৷ পাথারকান্দির দালাল কবির উদ্দিন কদমতলা থানার ওসি কিরন শঙ্কর চৌধুরীর সাথেও যোগযোগ করে গাড়ীগুলি ছেড়ে দেওয়ার জন্য কিন্তু ওসি তার কুপ্রস্থাবে রাজী হননি৷ নিমিশে পুরো ঘটনা চাউর হতেই বেকায়দায় পড়ে যান সুপারটেন্ড দিবেন্দু দে৷ গাড়ীগুলি আর অবৈধ্যভাবে ছাড়তে না পাড়লেও যেহেতু কবির উদ্দিনের কাছ থেকে মোটা অঙ্ক গিলেছেন তাই টেক্স ও পেনালটির পরিমানটা কিছু লঘু করে দিয়েছেন৷ এবিষয়ে প্রতিবেদক সুপারটেন্ড দিবেন্দু দের সাথে কথা বলতে চাইলে উনি বলে এখন আমি কাউন্টারে আছি একঘন্টা পরে আমার রুমে আসুন৷ কিন্তু প্রতিবেদক একঘন্টার বদলে দুঘন্টা অপেক্ষা করেও সুপারটেন্ডের দেখা পেলেন না৷ দিবেন্দু বাবুর পূর্বের অনেক গুনকীর্তনও রয়েছে৷ তাই উনি মুখে যুধিষ্টির কাজে ধৃতরাষ্ট্র৷ উনি শুধু টাকাই চেনেন৷ তাছাড়া রাজ্যের সবকটি ট্রান্সপোর্টের সাথে৷ দিবেন্দু বাবুর মোটা  অর্থের মাসোহারা রয়েছে৷ মাসোহারা সময় মত না পেলে গাড়ী থেকে বিভিন্ন সামগ্রী নামিয়ে ট্রান্সপেপার্টের খালিঘরে হেনস্থা করেন৷ কিছুদিন পূর্বে কতিপয় এক ট্রান্সপোর্টের মালিক ও কর্মীদের সাথে দরকষাকষি নিয়ে উত্তম মধ্যমও খেয়েছিলেন৷ অপরদিকে বর্তমানে আটককৃত আটটি গাড়ী চুরাইবাড়ি বিক্রয়করদপ্তরের কমপ্লেক্সের ভিতরে আছে৷ পাশা চুরাইবাড়ি বাসী বিক্রকরদপ্তরের সুপারটেন্ড দিবেন্দু দের এহেন  কর্মকান্ডে অতিষ্ট হয়ে উনার শাস্থী ও বদলি চাইছে৷ তাছাড়া চুরাইবাড়ি ও কদমতলা থানা কর ফাঁকী দেওয়া কোন সামগ্রী বিক্রয়করদপ্তরের হাতে তুলে দিতে এখন আর ভরসা পাননা৷