লোকসভায় উত্তরাখন্ড নিয়ে সরব জীতেন্দ্র চৌধুরী, বিধানসভা জীবিত থাকাকালে লোকসভায় বাজেট পাশ করার উদ্যোগ, অনৈতিক, দূর্ভাগ্যের

নয়াদিল্লি, ৯ মে৷৷ আগে অগণতান্ত্রিকভাবে উত্তরাখন্ডের নির্বাচিত সরকার ভাঙ্গার জন্য ৩৫৬ ধারা মোতাবেক জারি করা

জীতেন্দ্র চৌধুরী
জীতেন্দ্র চৌধুরী

রাষ্ট্রপতি শাসন তোলার ব্যবস্থা হউক তারপর সংসদে এই বিষয়ের উপর আলোচনার প্রয়োজন হবে কিনা তা ঠিক করা হবে৷ আজ লোকসভায় উত্থাপিত উত্তরাখন্ডের বাজেটকে বিরোধিতা করে সিপিআই(এম)’র মুখ্য সচেতক উপরোক্ত কথা বলেন৷ বিরোধীদল শাসিত রাজ্য সরকার সমূহ ভাঙ্গার খেলার অরুণাচল প্রদেশের পর গত ২৭ মার্চ বিধানসভা জিইয়ে রেখে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়৷ শ্রীচৌধুরী বলেন উত্তরাখন্ডের ঘটনা গণতন্ত্রের উপর নির্লজ্জ আক্রমণ এবং সাংবিধানিক ব্যবস্থার উপর চরম আঘাত স্বরূপ৷ অতীতে কংগ্রেস দল এই দানবীয় আইন প্রয়োগ করে বহুবার বিরোধী সরকার ভেঙ্গেছে৷ ১৯৫৯ সালে কেরালায় দেশে নির্বাচিত প্রথম কমিউনিস্ট সরকারকে এই ধারা প্রয়োগে ভাঙ্গা হয়েছিল৷ যে সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কিংবদন্তিস্বরূপ নেতা ই এম ফ্রা নাম্বুদিরিপাদ৷ তারপর কংগ্রেস, উপা এবং এনডিএ সব আমলেই বার বার অন্যায়ভাবে এই আইন প্রয়োগে দলীয় রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল করার ঘটনা ঘটেছে৷ আমাদের পার্টিতে সিপিআই(এম) এই ধার অপপ্রয়োগের গুরুতর বিরোধী৷ একমাত্র কোন জাতীয় সংকটের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে অত্যন্ত সীমিতভাবে এবং আপৎকালে এই জাতীয় আইনের প্রয়োগ হতে পারে৷
উত্তরাখন্ডের পরিস্থিতির উল্লেখ করে তিনি বলেন আদালতের নির্দেশানুযায়ী মঙ্গলবারই সেখানে বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের দিন ধার্য্য করা হয়েছে৷ এই অবস্থায় আর দুদিন অপেক্ষা না করে কেন্দ্রীয় সরকারের এত তাড়াহুড়ো করার পেছনে কি কারণ থাকতে পারে? একটি রাজ্যের বিধানসভা জীবিত থাকাকালে সে রাজ্যের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অধিকার খর্ব করে লোকসভায় বাজেট পাশ করার উদ্যোগ অত্যন্ত অনৈতিক এবং দুর্ভাগ্যজনক৷
এদিকে, জীতেন্দ্র চৌধুরী বলেন, ১৯৯৩ সালে কর্ণাটকে এমআর বোম্বাই সরকার ভাঙ্গার প্রেক্ষিতে আদালত যে ঐতিহাসিক রায় দিয়েছিল অতীতের কংগ্রেস সরকারগুলির ন্যায় মোদি সরকারও সে পথে হেঁটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ব্যবস্থাকে এড়াতে একদিকে অন্য ইস্যুতে উচ্চ আদালত এবং সিপিআইকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছে৷ অন্যদিকে ঘোড়া বেচাকেনার বাজারে সওদা করার চেষ্টা করছে৷
তিনি দাবি জানান যে দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ হউন যতশীঘ্র সম্ভব সরকার গঠন করার পরিস্থিতি সৃষ্টি করুন এবং উত্তরাখন্ড বিধানসভাতেই বাজেট পাশ করার সুযোগ দিন৷ অন্যান্য দলগুলির মধ্যে কংগ্রেস, বিজেপি, ওয়াই এস আর কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, টি আর এস এবং অকালীদল ও রাষ্ট্রপতি শাসন জারি বিরোধিতা করেন৷ যদিও তৃণমূল, অকালী দল এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস বাজেটকে সমর্থন করেছে৷ কংগেস দল পড়ে ওয়াক আউট করেছে৷