BRAKING NEWS

মহিলা সহ উড়িষ্যার পাঁচ ছিনতাইকারী পুলিশের জালে, টাকা সহ বহু সামগ্রী উদ্ধার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ এপ্রিল৷৷ রাজধানী  আগরতলা শহরের শিবনগর কলেজ রোড এলাকা থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই  সাফল্য পেল পুলিশ৷ ব্যাঙ্কের সিসি ফুটেজ দেখে এক ছিনতাইকারীরছবি চিহ্ণিত

উদ্ধার করা টাকা সহ দুই ছিনতাইকারী৷ শনিবার তোলা নিজস্ব ছবি৷
উদ্ধার করা টাকা সহ দুই ছিনতাইকারী৷ শনিবার তোলা নিজস্ব ছবি৷

করা হয়৷ সে অনুযায়ী পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে এই চক্রের পাঁচজনকে পাকড়াও করতে সক্ষম হয়েছে৷ তাদের মধ্যে তিনজন মহিলা৷ অপর দুজন পুরুষ৷ আরো একজনকে পাকড়াও করতে পুলিশের তৎপরতাব্যাহত রয়েছে৷ ছিনতাই হওয়া সিংহভাগ টাকাও উদ্ধার করা হয়েছে৷ আরো এক লক্ষ আশি হাজার টাকা উদ্ধার করা বাকি রয়েছে৷ ছিনতাইকারীদের কাছ থেকে দুটি মোটর বাইক সহ অন্যান্য আপত্তিকর সামগ্রীও উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ৷ ছিনতাইকারীরা বর্হিরাজ্যের বাসিন্দা৷ যতদূর জানা গেছে, তাদের প্রত্যেকের বাড়ি ওড়িশায়৷ ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে পুলিশ ছিনতাইকান্ডের জাল গুটিয়ে এনে পাঁচজনকে আটক করায় সাধারণ মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন৷ পুলিশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্যতা অনেকটাই বেড়েছে৷ উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল বনকুমারীর সাহা পাড়ায় বাসিন্দা হরিদাস দেবনাথ পোস্ট অফিস চৌমুহনীস্থিত এক্সিস ব্যাঙ্ক থেকে বাড়ি নির্মাণ কাজের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা তুলেন৷ সঙ্গে ছিলেন শ্রীদেবনাথের কন্যা৷ টাকা নিয়ে সুকটি করে তারা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়৷ শিবনগরকলেজ রোডে আনন্দমার্গ সুকল সংলগ্ণ একটি বেকারির সামনে পেছন দিক থেকে ধাওয়া করে আসা একটি বাইক সুকটিকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে টাকার ব্যাগ ছিনতাই করে নিয়ে গিয়েছিল৷ এব্যাপারে আগরতলা পূর্ব থানায় মামলা গৃহীত হয়৷ পরদিন ব্যাঙ্কের সিসি টিভির ফুটেজ থেকে সন্দেহভাজন যুবকের ছবি সংগ্রহ করা হয়৷ এই ছবি সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়া হয়৷ পুলিশও নড়েচড়ে বসে৷ শনিবার সিপাহিজলার পুলিশ সন্দেহভাজন  এক যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়৷ তার নাম গোপী৷ তার কথাবার্তায় অসংলগ্ণতা পরিলক্ষিত হয়৷ তার জবানবন্দি অনুযায়ী বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গান্ধীগ্রামের রাজনগর এলাকায় সঞ্জীব দাসের বাড়ি থেকে মাইকেল কুমার নামে আরো এক চাঁইকে আটক করা হয়৷ সেখান থেকে মোবাইল ফোন দুটি বাইক সহ অন্যান্য সামগ্রী উদ্ধার করা হয়৷ তাদের কাছ থেকে তিন  লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে৷ স্বীকারোক্তি মূলে উদ্ধারকরা হয়েছে আরো তিন মহিলাকেও৷ ধৃতদের তুলে দেওয়া হয় পূর্ব মহিলা থানার পুলিশের হাতে৷ অজয় দাস নামে আরো এক অভুিযক্তের নামধাম পেয়েছে পুলিশ ৷ তাকে পাকড়াও করার তৎপরতা শুরু হয়েছে৷ এখনো এক লক্ষ আশি হাজার টাকা উদ্ধার করা যায়নি৷ জানা যায়, অজয় ও গোপী নামে ঐ দুই যুবক রাজ্যে পাথর ফেরী করে বিক্রি করত৷ এই ব্যবসার আড়ালে ছিনতাই ছিল তাদের মূল ব্যবসা৷ আজ পুলিশের হাতে ধরা পড়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যায়৷ পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার অভিজিৎ সপ্তর্ষির নেতৃত্বে পুলিশ এই অভিযান চালায় বলে জানানো হয়৷ এই অভিযানকে সাম্প্রতিককালে পুলিশে সবচেয়ে বড় সাফল্য বলেও আখ্যায়িত করা হয়েছে৷ পুলিশের এই সাফল্যের মধ্য দিয়ে আবারও প্রমাণিত হয়েছে পুলিশ ইচ্ছে করলে এধরনের ঘটনা প্রতিহত করতে সক্ষম৷ পুলিশ এসব ক্ষেত্রে প্রকৃতপক্ষেই সক্রিয় ভূমিকা পালন করলে যে চুরি ছিনতাই সহ অসামাজিক কার্যকলাপ অনেকটাই হ্রাস পাবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ তা সত্ত্বেও পুলিশ বিভিন্ন বিষয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *