নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ এপ্রিল৷৷ পরিমল সাহা হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত ১২ জনের শাস্তি ঘোষণা করা হয়েছে
আজ৷ পশ্চিম জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আজ দোষীদের সাজা ঘোষণা করা হয়৷ দোষী সাব্যস্ত ১২ জনকেই যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ ভারতীয় দন্ড বিধির ৩০২/১২০ (বি) ধারায় তাদেরকে সাজা দেওয়া হয়েছে৷ যে ১২ জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে তারা হল ষষ্ঠি চক্রবর্তী, উত্তম সাহা, মৃণাল সেনগুপ্ত, বিজয়কুমার দাস, কাজল রায়, অভয়কান্তি ভূষণ, চিন্ময় ঘোষ, হিরন্ময় ঘোষ, সুখেন্দু বিকাশ দাস, বাবুল দাস, সজলকুমার সরকার এবং প্রদুল সেনগুপ্ত৷ তাদের মধ্যে চিন্ময় ঘোষকে ৩২৬ ধারায় আরো ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং পাঁচ হাজার টাকার আর্থিক জরিমানার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ অনাদায়ে আরো তিনমাস সাজাভোগ করতে হবে৷ এছাড়া বিজয় দাস ৩০৭ ধারায় ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা নির্দেশ [vsw id=”Usj5E0isQaM” source=”youtube” width=”425″ height=”344″ autoplay=”yes”]দেওয়া হয়েছে৷ অনাদায়ে তাকেও আরো ছয় মাসের কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ এই মামলায় পাঁচজনকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে৷ তারা হল অরুণ কুমার সাহা, তপন কুমার দাস, সত্যরঞ্জন দাস, চাঁন্দ মিয়া এবং উত্তম কুমার সাহা৷ মোট ২৪ জনকে অভিযুক্ত করে সিআইডি এই মামলার তদন্ত শুরু করেছিল৷ তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিটও জমা দিয়েছিল৷ বিভিন্ন কারণে মামলাটি বিলম্বিত হয়৷ মামলা চলাকালীন পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে৷ উল্লেখ্য, ১৯৮৩ সালের ৭ এপ্রিল বিশালগড়ের অফিসটিলায় বিধায়ক পরিমল সাহা নৃশংসভাবে খুন হয়েছিলেন৷ একই সাথে জিতেন সাহাও নিহত হয়েছিলেন৷ এই মামলাটির রায় হয়েছে দীর্ঘ ৩৩ বছর পর৷ প্রসঙ্গত, সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশ অনুসারে প্রতিটি রাজ্যেই বকেয়া মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে৷ এরই অঙ্গ হিসেবে ত্রিপুরা হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলার দ্রুত রায় সম্ভব হয়েছে৷ এদিকে, পরিমল সাহা হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্তদের সাজা শোনার জন্য শনিবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে অসংখ্য মানুষের ভিড় পরিলক্ষিত হয়৷ বিকেল তিনটে নাগাদ মাননীয় বিচারক এই চাঞ্চল্যকর বহু প্রতীক্ষিত মামলার দোষীসাব্যস্ত ১২ জনের শাস্তি ঘোষণা করেন৷ এই মামলার অভিযুক্তদের শাস্তি ঘোষণার পর পরই বিভিন্ন মহলে স্বস্তির পরিবেশ ফিরে এসেছে৷