BRAKING NEWS

ইউবিআই কৈলাসহর শাখায় টাকা আত্মসাৎ, চাপে পড়ে ফেরত

indianrupeeনিজস্ব প্রতিনিধি, কৈলাসহর, ৩০ এপ্রিল৷৷ ঊনকোটি জেলার কৈলাসহরে ইউবিআই ব্রাঞ্চে কষ্টার্জিত টাকা আমানত রেখে বিচিত্রতার অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন এক আমানতকারী মহিলা৷ কল্যাণী দাস নামে শ্রীনাথপুর গ্রামের এক মহিলা ইউবিআই কৈলাসহর ব্রাঞ্চে মোট ৮২ হাজার ৭১২ টাকা জমা রাখেন৷ ব্যাঙ্কের পাস বই আপডেট করাতে এসে তাকে বিচিত্র অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয়৷ একদিন তাকে বলা হয়, প্রিন্টারে কালি নেই৷ পড়ে আসতে হবে৷ কয়েকদিন পরে আবারও পাস বুক নিয়ে গেলে তাকে মৌখিকভাবে কত টাকা ব্যাঙ্কে আমানত রয়েছে তা বলা হয়৷ পাস বইয়ে যে টাকা রয়েছে বলে মহিলাকে জানানো হয় সে টাকার সঙ্গে প্রকৃত আমানত রাখা টাকার মিল ছিল না৷ স্বাভাবিক কারণেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কথা শুনে আমানতকারী মহিলার মাথায় বাজ পড়ার উপক্রম হয়৷ আমানত রাখা টাকার মধ্যে ২৮ হাজার টাকা বেপাত্তা হয়ে যায়৷ স্বাভাবিক কারণেই বেঁকে বসেন ঐ মহিলা৷ তিনি বিষয়টি ম্যানেজারকে জানাতে গেলে প্রথম দিকে মহিলার সঙ্গে অসভ্য আচরণ করা হয় বলে অভিযোগ৷ কিন্তু পরক্ষণেই ম্যানেজার ডেকে বলেন এব্যাপারে লিখিতভাবে একটি অভিযোগ জমা দেওয়ার জন্য৷ সে অনুযায়ী কল্যাণী  দাস নামে আমানতকারী ঐ মহিলা ম্যানেজারের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন৷ পরিস্থিতি বেগতিক আকার ধারণ করতে পারে আশঙ্কায় ম্যানেজারও কৌশলী উদ্যোগ নেন৷ মহিলাকে বলা হয়, পরদিন ব্যাঙ্কে আসার জন্য৷ ম্যানেজার মহিলাকে ডেকে এনে তিনটি উড্রেল স্লিপ দেখান৷ সবকটিতেই মহিলার নামে সাক্ষর করা ছিল৷ উড্রেল স্লিপ দেখানোর সঙ্গে সঙ্গেই মহিলা জানান, উড্রেল ফর্মে যে সাক্ষর লক্ষ্য করছেন  তা তার নিজের সাক্ষর নয়৷ তাতে রীতিমত বিপাকে পড়ে ইউবিআই কৈলাসহর ব্রাঞ্চ৷ শেষ পর্যন্ত মহিলাকে বাগে আনার জন্য বেপাত্তা হয়ে যাওয়া ২৮ হাজার টাকা মহিলার হাতে তুলে দেওয়ার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়৷ সে অনুযায়ী শনিবার মহিলা যে অভিযোগ লিখেছিলেন তাতে মহিলাকে দিয়ে সাক্ষর দিয়ে লেখা হয় মহিলা বকেয়া টাকা হাতে পেয়েছেন৷ ২৮ হাজার টাকা হাতে পেলেও নাছোড়বান্দা ঐ মহিলা দুর্নীতির সঙ্গে কোনভাবে আপোস করতে নারাজ৷ তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন বাদবাকি টাকা আমানত হিসেবে রয়েছে সে টাকাও তিনি তুলে নিতে চান৷ স্বাভাবিক কারণেই আরো অস্বস্তিতে পড়েন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ৷ মহিলা অভিযোগ করেছেন,  ব্যাঙ্কের একটি চক্রই তার আমানতের টাকা হাফিজ করেছিল৷ সে টাকা ফিরে পেয়েই তিনি সন্তুষ্ট নন৷ এই ব্যাঙ্কে তিনি টাকা রাখতে নারাজ৷ ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ কোন ভাবেই মহিলাকে ম্যানেজ করতে পারেননি৷ এবিষয়ে ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের মতামত জানতে চাইলে তিনি জানান, এধরনের অভিযোগ তার কাছে এসেছিল৷ মহিলার টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে৷ তবে বিষয়টি প্রধান কার্যালয়ে জানানো হয়েছিল৷ ঘটনার সুষ্ট তদন্ত হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেছেন৷ উল্লেখ্য, রাজ্যের মানুষ চিটফান্ডে টাকা রেখে প্রতারিত হয়েছেন৷ এখন একাংশের ব্যাঙ্কেও টাকা আমানত রেখে প্রতারিত হচেছন আমানতকারীরা৷ ফলে ব্যাঙ্কগুলির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ণ উঠতে শুরু করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *