BRAKING NEWS

খোয়াইয়ে বনধে আমরা বাঙালীর জোরদার পিকেটিং

Khowai ABনিজস্ব প্রতিনিধি, খোয়াই, ১৮ এপ্রিল৷৷ ত্রিপুরা রাজ্যের বিরোধী দলগুলির ডাকা বনধকে কেন্দ্র করে সোমবার সকাল থেকেই খোয়াইতে উত্তেজনা দেখা দেয়৷ প্রধান বিরোধী দল হিসাবে কংগ্রেসের নাম কাগজে কলমে থাকলেও সবেমাত্র মাইকযোগে প্রচার সেরেই উনারা বিরোধী দলের মহান দায়িত্ব সম্পন্ন করার মতো আত্মতুষ্টিতে ভোগেই সম্ভবত বনধের দিন পালিয়ে বাঁচলেন৷ অথচ আমরা বাঙালিরা হাতেগুনা কিছু কর্মী দলের ডাকা ২৪ ঘন্টার বনধ এর সমর্থনে শুধু পথ সভায় সামিল হননি, বরং বনধের দিন রাস্তায় পিকেটিংও করলেন৷ হাতেগুনা কিছু আমরা বাঙালির কর্মীর জন্যই পুলিশ প্রশাসনের এমনভাব যেন দক্ষযজ্ঞ বেঁধে যাবে৷ তবে আমরা বাঙালির ডাকা বনধ-এর প্রভাব খোয়াই শহরে কিন্তু বেশ ভালই পড়ল সোমবার৷ প্রাণকেন্দ্র সুভাষপার্ক বাজার সহ বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট বন্ধ রাখেন৷ ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস বন্ধ থাকলেও সুকল কলেজ ছিল খোলা৷ কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার ছিল নগণ্য৷ কারণ যানবাহন না চলার দরুন ছাত্রছাত্রীরা সুকল কলেজে পৌঁছাতে পারেনি৷ যদিও শহরের উপর কিছু টমটম এবং অটো পরিষেবা চালু থাকে৷ কিন্তু অতি উৎসাহী কিছু শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা বাঙালি দলের পিকেটারদের মারধরের অভিযোগ তুলেছেন আমরা বাঙালি ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির প্রচার সচিব গৌতম ঘোষ৷
এদিকে, জনগণের অভিমত কেন এমনটা হবে? খোয়াই থানা বাবুদের চালে পড়ে যায় আমরা বাঙালি দল৷ সুরঞ্জন দাস এবং সমীরণ আচার্য আহত হওয়ার খবর পেয়ে দলের সব পিকেটাররা জড়ো হয়ে নৃপেন চক্রবর্তী এভিন্যুতে৷ সঙ্গে সঙ্গে থানা বাবুরা জালে তুলে নেয় ২২ জন পিকেটারকে৷ মোট ২৭ জন পিকেটারকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে খোয়াই সরকারি দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আটকে রাখা হয় দিনভর৷ সোমবার সকাল ৮টায় সামান্য পিকেটিংয়েই বনধে সাড়া ফেলে দেয় আমরা বাঙালি দল৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *