নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৯ ফেব্রুয়ারি৷৷ সর্ট সার্কিট থেকে কলাছড়ি গ্রামে আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত গ্রামবাসী দমকল কর্মী সহ বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীদের আটক করার ঘটনাকে ঘিরে কলাছড়ি গ্রামে উত্তেজনা দেখা দেয়৷
বারবার বিদ্যুৎ দপ্তরকে জানানো সত্ত্বেও দপ্তরের কোন ভূমিকা না থাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ৷ শনিবার সারাদিন ব্যাপী চলে গ্রামবাসী বনাম বিদ্যুৎ দপ্তরের মধ্যে এনিয়ে বাকযুদ্ধ৷ ঘটনার বিবরণ দিয়ে এলাকাবাসী জানায়, শনিবার কলাছড়ি গ্রামে বিদ্যুতের শট সার্কিটের কারণে পরিমল দাসের বাড়িতে আগুন লাগে৷ পাশাপাশি হাইভোল্টেজে গ্রামের অধিকাংশ বাড়ির টিউব লাইট, টিভি, ফ্যান নষ্ট হয়ে যায়৷ এদিকে ফায়ার সার্ভিসকে আগুন লাগার ঘটনা টেলিফোনে বারবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করতে না পারায় থানার সাহায্যে দমকল কর্মীদের খবর দেওয়া হয়৷ আগুন লাগার দেড়ঘন্টা পর দমকলকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত গ্রামবাসী তাদের আটক করে রাখে৷ পরে বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা এলাকায় গেলে গ্রামবাসীরা তাদেরও আটক করে রাখে৷ গ্রামবাসীদের বক্তব্য ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিলে তাদের ছাড়া হবে৷ এদিকে পরিমল দাসের বাড়ির আগুন দমকল কর্মীরা পৌঁছানোর আগেই গ্রামবাসীরা আগুন আয়ত্ত্বে আনেন৷ উত্তেজিত গ্রামবাসী বিদ্যুৎ দপ্তর ও দমকল কর্মীদের কাছে জানতে চায় বার বার ফোন করা সত্ত্বেও তারা কেন টেলিফোন রিসিভ করেননি৷ এবিষয়ে টেলিফোন বিকল কারণ সরকার তাদের বিলের অর্থ দেয়নি লক্ষণীয় বিষয় হল গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা দমকল অফিসে টেলি যোগাযোগ নেই এটা হাসির খোরাক৷ অপরদিকে গ্রামবাসীদের চাপের মুখে বিদ্যুৎ দপ্তরের সিনিয়র ম্যানেজার স্বপনশীল শর্মা জানান ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে কিভাবে সাহায্য করা যাবে সে বিষয়ে তিনি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলেচনা করবেন৷ পড়ে সিনিয়র ম্যানেজারের প্রতিশ্রুতির বিনিময়ে রেহাই পায় দমকল কর্মী সহ বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা৷ গ্রামের মানুষের সাহায্যে বেঁচে যায় পরিমল দাসের একমাত্র বসতঘরটি৷ প্রসঙ্গত রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে জরুরী পরিষেবা প্রদানের ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ নিগম এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের দায়সারা মনোভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে ইদানিং৷
2016-02-20

