BRAKING NEWS

অসমের কুড়িটি আসনে সমঝোতা কং-এআইইউডিএফ-এর মধ্যে, জনার্দন-কিরিপের মধ্যস্থতা দিল্লিতে

assam mapগুয়াহাটি, ১১ ফেব্রুয়ারি, (হি.স.) : গেরুয়া দল বিজেপি-র আগ্রাসনে একপ্রকার দিশাহারা হয়ে মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ভোট বৈতরণী পার হতে এআইইউডিএফ-কে শেষ সারথি হিসেবে বেছে নিয়েছেন| সাধারণ ভোটারদের বোকা বানাতে এআইইউঢিফ-কে যথেচ্ছা গালাগালি দিলেও নতুন দিল্লিতে এই দু-দলের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে গড়ে উঠেছে সমঝোতা| দলের উপ-সভাপতি তথা সেকেন্ড-ইন চিফ রাহুল গান্ধীর পরামর্শে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা জনার্দন দ্বিবেদির মধ্যস্থতায় এআইইউডিএফ-প্রধান বদরুদ্দিন আজমলের সঙ্গে রাজ্যের কুড়িটি আসনে সমঝোতা হয়েছে বলে এক বিশ্বস্ত সূত্রের খবরে প্রকাশ| সূত্রের দাবি, এ-কাজ সম্পন্ন হয়েছে বদরুদ্দিন ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত প্রাক্তন সাংসদ কিরিপ চলিহার বিশেষ উদ্যোগে| খোদ এআইইউডিএফ-এর ওই সূত্রের খবর, আসন্ন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনে আজমলের দল ইতিমধ্যে ৫০ থেকে ৬০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে| সেই অনুযায়ী এআইইউডিএফ-এর দখলিকৃত ১৮টি আসনের পাশাপাশি অন্য দুটি আসন-সহ মোট কুড়িটি আসনে কংগ্রেস তাদের দুর্বল প্রার্থী দেবে| একইভাবে যে-সব কেন্দ্রে কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ মধ্যে ভোট কাটাকাটি হওয়ার আশংকা রয়েছে, তেমন আসনে যে দলের শক্তিশালী প্রার্থী থাকবেন, তাঁকে সমর্থন করে অন্য দলটি তাদের দুর্বল প্রার্থী দেবে| প্রাথমিক আলোচনার সূত্রে এমন ৪০টি কোন কোন আসন তা কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ শনাক্ত করে একটি তালিকা তৈরি করবে| স্মরণ রাখা যেতে পারে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন দত্ত এবং মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ মুখে যতই তাঁরা এককভাবে আসন্ন নির্বাচনে লড়বেন বলে বলুন না-কেন, নিম্ন অসমের পাশাপাশি মধ্য অসমেও যে ক্ষমতাসীন কংগ্রেস বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে তা ইতিমধ্যে নিশ্চিত হয়েছে নিখিল ভারত কংগ্রেস কমিটি| বিশেষ করে সংখ্যালঘু ভোট যে এবার তাদের অনুকূলে যাবে না তাতে একেবারে নিশ্চিত হয়েই এ-থেকে উরাতে হলে বিকল্প হিসেবে এআইইউডিএফ-এর সঙ্গে সমঝাতা না-করা ছাড়া আর কোনও পথ সর্বভারতীয় শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে খোলা নেই|
গত কিছুদিন ধরে মুখ্যমন্ত্রী ও প্রদেশ সভাপতি আজমলের বিরুদ্ধে এমন সোচ্চার হয়েছিলেন যা দেখে মনে হয়েছিল এই দু-দলের মধ্যে এখন আর কোনও ধরনের সমঝোতা হবে না| কিন্তু এই নির্বাচনে আজমলের গুরুত্ব টের পেয়ে তাঁর সঙ্গে মিত্রতা বা সমঝোতা করার ব্যাপের জনার্দন দ্বিবেদিকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী| তাছাড়া, এ-ব্যাপারে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নিতে রাহুল নির্দেশ দেন দীর্ঘদিনের আজমল-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন সাংসদ কিরিপ চলিহাকে| সে-অনুযায়ী অঞ্জন-তরুণের ক্ষীণ আপত্তি থাকলেও হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনে এআইইউডিএফ-এর সঙ্গে তাঁদের কুড়িটি আসনে সমঝোতা করতে হয়েছে বলে সূত্রের দাবি| তাই সাম্প্রিতককালে দেখা ষাচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী বা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিও আগের মতো এআইইউডিএফ-এর বিরুদ্ধে টু-শব্দও করছেন না এবং সংখ্যালঘু অধু্যষিত অঞ্চলে কোনও সভাও করছেন না| লক্ষণীয় বিষয় হল, দিল্লিতে এই দু-দলের মধ্যে গোপন সমঝোতা হলেও স্থানীয়ভাবে তা দলের কারোর কাছে খোলসা করছেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অঞ্জন দত্ত কিংবা মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ| এ-ও এক রহস্য| তবে অন্য এক সূত্রের খবরে জানা গিয়েছে, কংগ্রেস এবং এআইইউডিএফ-এর মধ্যে এমন সমঝোতার ব্যাপারে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন নির্বাচনী কৌশলী বলে পরিচিত প্রশান্ত কিশোর এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার| নীতীশের পরামর্শেই রাহুল এই পদক্ষেপ নিয়েছেন বলে সূত্রটি বলেছে|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *