আগরতলা ছিল মুক্তিযুদ্ধাদের দ্বিতীয় ঘর, জানালেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার

SMALIনিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ জানুয়ারি৷৷ বৃহস্পতিবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এসএম আলির সঙ্গে সাংবাদিকরা মতবিনিময় করেন৷ মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এসএম আলি মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন৷ তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের জনগণের কাছে সবচেয়ে বড় অহংকার৷ মুক্তিযুদ্ধে আগরতলার ভূমিকা ছিল অপরিসীম৷ বাংলাদেশের জনগণ চিরকাল আগরতলার ও ত্রিপুরার জনগণের কাছে কৃতজ্ঞতা থাকবে৷ তিনি বলেন, আগরতলা ছিল মুক্তিযুদ্ধাদের দ্বিতীয়ঘর৷ ভারত সরকার বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতা না করলে বাংলাদেশে স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা আজও পেত না তাও তিনি স্বীকার করে নেন৷ বাংলাদেশের প্রতিটি জনগণ এজন্য ভারতের কাছে ঋণী৷ বাংলাদেশের প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরা মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের জনগণ আশ্রয় এবং আহার জুগিয়েছেন৷ শুধু তাই নয় বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য যাবতীয় সহযোগিতা করেছেন৷ এই ঋণ পরিশোধ যোগ্য নয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷ বর্তমানে ভারত -বাংলা সম্পর্ক নতুন দিগন্তের পথ উন্মোচন করতে চলেছে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন৷ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন  হচ্ছে৷ এসম্পর্ককে আরো মজবুত করতে হবে৷ উভয় দেশেই আরো কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷ বিশেষ করে ভিসা সরলীকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে৷ আরো দীর্ঘ মেয়াদি ভিসা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে৷  বর্তমানে ব্যবসায়ীদের পাঁচ বছরের জন্য ভিসা দেওয়া হচ্ছে৷ তা আরো বাড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে৷ আগরতলার সঙ্গে সিলেট ও কুমিল্লার ঐতিহাসিক যোগাযোগ রয়েছে৷ যোগাযোগ ব্যবস্থার ক্ষেত্রে ত্রিপুরা অচিরেই গেটওয়েতে পরিণত হচ্ছে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন৷ দু-দেশের সামাজিক সাংসৃকতিক ব্যবস্থারও আদান প্রদান বাড়ানোর জন্য তিনি আহ্বান জানিয়েছেন৷ সম্মিলিত প্রয়াসেই বাংলাদেশ ও ত্রিপুরার জনগণের আত্মিক সম্পর্ককে  আরো মজবুত করবে  বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেছেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *