কং-এ ফিরলেন দশ নব্য-গেরুয়াবসনধারী ইএম, সংখ্যালঘুতে পরিণত বিজেপি-র ডিমা হাসাও স্বশাসিত পরিষদ

CONGBJPহাফলং (ডিমা হাসাও জেলা, অসম), ১০ জানুয়ারি, (হি.স.) : মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ঘরের ছেলেরা ঘরে ফিরেছেন| রাজ্য বিধানসভা নিৰ্বাচনের ছয় মাস আগে ডিমা হাসাও স্বশাসিত পরিষদের ক্ষমতাসীন কংগ্রেসকে একঘরে করেছিলেন নব্যবিজেপি-র এগারোজন| এবার তাঁরাই বর্তমান পরিষদ-প্রধান নিরঞ্জন হোজাইয়ের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ হয়ে ফের কংগ্রেসে যোগদান করে ডিমা হাসাওয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন স্বশাসিত পরিষদকে সংখ্যালঘুতে পরিণত করে দিয়েছেন| গতকাল (৯ জানুয়ারি) এঁরা প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দফতর রাজীব ভবনে এসে ফের দলে ভিড়েছেন| এঁদের দলে ফেরায় এখন আবার ডিমা হাসাও স্বশাসিত পরিষদের ক্ষমতা ফের কংগ্রেসের দখলে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হয়ছে| যাঁরা ফের কংগ্রেসে এসেছেন তাঁরা যথাক্রমে মিহির বর্মন ওরফে জুয়েল গারলোসা, আথাং লিয়েংথাং, ফ্লেমিং রুপমি ম্যালা, এল লিমা কেইভম, হাইলাম কাম্বে কোয়ামে, সাউন্থাংজেম রাংখল, পাওডামিং ত্রিয়েম, লালযশোয়া বেইতে, খাউবেলথাং মার, এবংডেনিস তেরং| কংগ্রেসে যোগদানকারী এই দশজন কার্যনির্বাহী সদস্য (ইএম) এবং দলের আগের সাত ইএম বর্তমান মুখ্য কার্যনির্বাহী সদস্য (ইএম) নিরঞ্জন হোজাইয়ের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে রাজ্যালের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানা গেছে| রাজ্যপাল বর্তমানে মুম্বাইয়ে আছেন| আগামী ১১ তারিখ তাঁর গুয়াহাটি ফিরে আসার কথা| তিনি আসলেই তাঁর সঙ্গে দেখা করে ডিমা হাসাও শ্বসাসিত পরিষদ গঠনের জন্য আর্জি পেশ করবে কংগ্রেস|
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর বিজেপি-র প্রদেশ সদর দফতরে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে এক নির্দল-সহ নয় কংগ্ৰেসি সদস্য বিজেপিতে যোগদান করে ডিমা হাসাও স্বশাসিত পরিষদে কংগ্রেসকে সংখ্যালঘুতে পরিণত করে দিয়েছিলেন| ৩০ সদস্যের ডিমা হাসাও স্বশাসিত পরিষদে আগের সাতজনকে নিয়ে বিজেপি-পারিষদের সংখ্যা ১৬-য় পৌঁছেছিল এবং কংগ্রেসের ছিলেন মাত্র আট| ম্যাজিক সংখ্যা ১৬ জন সদস্য হয়ে যাওয়ায় ১০ অক্টোবর রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে সংশ্লিষ্ট পরিষদ গঠনের অনুমতি চেয়েছিলেন বিজেপি পারিষদরা| একইভাবে, তিওয়া জাতীয় ঐক্যমঞ্চ ও অগপ-এর সঙ্গে জোট বেঁধে মরিগাঁওয়ের তিওয়া স্বশাসিত পরিষদেও অংশীদার হয়েছে বিজেপি| এর আগে এই পরিষদ কংগ্রেসের দখলে ছিল|
এদিকে, তাঁরা কেন ফের কংগ্রেসে ফিরে এলেন প্রশ্নের জবাবে প্রাক্তন জঙ্গি নেতা তথা বর্তমান কংগ্রেস নেতা জুয়েল গারলোসা বলেছেন, ক্ষমতা পেয়ে শাসনের নামে একনায়কত্ববাদ চালিয়েছেন বর্তমান পরিষদ-প্রধান নিরঞ্জন হোজাই| ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় শাসন চালাচ্ছেন তিনি| তাই, তাঁকে তাঁকে ক্ষমতাচু্যত করতে আমরা ফের কংগ্রেসে ফিরে এসেছি| রাজ্যের চতুর্দশ বিধানসভা নির্বাচনের মাত্র দু-মাস আগে বিজেপি-র ওপর এভাবে আঘাতকে খুব ভালো লক্ষণ বলে মনে করছেনা রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *