নয়াদিল্লি, ২৬ জানুয়ারি (হি.স.): দিল্লিতে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিল নিয়ে হাঙ্গামার পর পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। কৃষক বিক্ষোভের জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে জরুরি বৈঠক বসল। ওই বৈঠকে ঠিক হয় দিল্লির আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে মেতায়েন করা হবে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। আন্দোলনকারীদের সরাতে আরও ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছে কেন্দ্র।
আজ প্রজাতন্ত্র দিবসে কৃষকদের ট্রাক্টর মিছিলকে কেন্দ্র করে তুলকালাম হয় রাজধানীর একাধিক এলাকায়। সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমান্তে পুলিশেরর সঙ্গে সংঘর্ষের পাশাপাশি রাজধানীর বুকে দাপিয়ে বেড়ায় কৃষকরা। দিল্লি পুলিশের সদর আইটিও এলাকায় পুলিশের বাধা ভেঙে তোলপাড় করে কৃষকরা। পুলিশে বাধা দিলে তাদের ওপরে চড়াও হয় আন্দোলনকারীরা। এছাড়াও লালকেল্লায় পুলিশের বাধা ভেঙে ভেতরে ঢুকে পড়ে আন্দোলনকারীরা। ঐতিহাসিক লালকেল্লার গম্বুজে উঠে লাগিয়ে দেওয়া হয় পতাকা। বিকেলেও দিল্লির বিভিন্ন এলাকায় তোলপাড় করেন কৃষকরা।
কৃষক বিক্ষোভের জেরে উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বাসভবনে জরুরি বৈঠক বসল। এনিয়ে টানা দেড় ঘণ্টা বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকরা। পাশাপাশি রাজধানীর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজখবর নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই বৈঠকে ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় ভাল্লা, দিল্লির পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব এবং ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) অধিকর্তা অরবিন্দ কুমারও। ওই বৈঠকে ঠিক হয় দিল্লির আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে মেতায়েন করা হবে অতিরিক্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী। আন্দোলনকারীদের সরাতে আরও ১৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছে কেন্দ্র। এদের মধ্যে ১০ কোম্পানি সিআরপিএফ ও ৫ কোম্পানি অন্যান্য বাহিনী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বৈঠকে এনিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের কমিশনার এস এন শ্রীবাস্তব জানিয়ে দিয়েছেন, লালকেল্লা ও আইটিওর রাস্তা খালি করতে যতদূর সম্ভব শক্তি প্রয়োগ করা হবে। মিছিলের আগে কৃষকদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচান হয়েছিল। পুলিশের নির্দিষ্ট করা রুটে তারা যেতে রাজী হলেও শেষপর্যন্ত তা মানেননি তারা। হাঙ্গামা করেছেন কৃষকরা। এতে বহু পুলিশ আহত। কৃষকদের কাছে অনুরোধ, পুলিশের নির্দিষ্ট করে দেওয়া পথ ধরে ফিরে যান।

