বেঙ্গালুরু, ৩ অক্টোবর (হি.স.) : গৌরী লঙ্কেশের খুনিদের পরিচয় জানতে পারা গিয়েছে| মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামলিঙ্গা রেড্ডি। তিনি বলেন, গৌরী লঙ্কেশ ও কালবুর্গি হত্যা-মামলায় গুরুত্বপূর্ণ সূত্র তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে |তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছুই জানানো হচ্ছে না।
এদিন সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে কর্ণাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রামালিঙ্গা রেড্ডি জানান, আমরা জানতে পেরেছি এই খুনের পিছনে কারা রয়েছে৷ সাংবাদিক-সমাজকর্মী লঙ্কেশের হত্যাতদন্তে গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) হাতেও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র এসেছে। বামপন্থী সমাজকর্মী এমএস কালবুর্গির হত্যা-মামলায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছে সিআইডি।তবে তদন্তের স্বার্থে এখনই কিছুই জানানো হচ্ছে না। তিনি আশাপ্রকাশ করেন, শীঘ্রই এই দুটি হত্যামামলার সমাধান করতে সক্ষম হবে সংশ্লিষ্ট তদন্তকারী সংস্থা।
গত মাসের ৫ই সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুতে গৌরিকে তার বাসভবনে গুলি করে খুন করে আততায়ীরা৷ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, হেলমেটে মুখ ঢাকা এক পুরুষ গৌরির বুকে গুলি ছোড়ে৷ এই ঘটনার পরই আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে সরকারের সমালোচনায় কোমর বেঁধে নেমে পড়ে বিরোধীরা৷ স্পষ্টবাদী গৌরির কন্ঠরোধ করতেই তাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে৷
এর আগে ২০১৫ সালে গৌরির মতোই নিজের বাড়িতে খুন হন এম এম কালবুর্গি৷ গৌরির মতো তিনিও ছিলেন উদারবাদী ও মুক্ত চিন্তাধারার মানুষ৷ কালবুর্গির হত্যাকারীদের এখনও ধরতে পারা যায়নি৷
লঙ্কেশ ও কালবুর্গির হত্যায় এক অদ্ভুত মিল রয়েছে বলে দাবি উঠলেও, এই দুই ঘটনাকে একসূত্রে বাঁধতে নারাজ রেড্ডি। বলেন, দুটি তদন্ত ভিন্ন সংস্থার হাতে রয়েছে। ফলে, এই নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো ঠিক নয়।
2017-10-03