নয়াদিল্লি, ১৯ জুন (হিঃস)৷৷ দেশের রাষ্ট্রপতি পদের জন্য এনডিএ প্রার্থী হিসাবে রামনাথ কোবিন্দের নাম ঘোষণা করল

বিজেপি৷ বিহারের বর্তমান রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দকে দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি হিসেবে দেখতে চায় কেন্দ্রের শাসক দল৷ সম্ভবত আগামী ২৩ জুন তিনি মনোনয়নপত্র পেশ করছেন বলে জানা গিয়েচে৷ সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেন৷ সাংবাদিক সম্মেলনে বিজেপি সভাপতি জানান, সব দলকেই তাঁরা এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন৷ নির্বাচিত হলে কোবিন্দ হবেন কে আর নায়ারণের পর দেশের দ্বিতীয় দলিত রাষ্ট্রপতি৷
সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বিজেপি সংসদীয় দলের বৈঠকে বসেন দলের সভাপতি অমিত শাহ, রাজনাথ সিং, অরুণ জেটলি, বেঙ্কাইয়া নাইডু, নীতিন গডকড়ির মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রিরা৷ ঘন্টা দুই বৈঠক চলার পরে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হিসেবে রামনাথ কোবিন্দের নামের পাশে সিলমোহর দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর৷
বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন দলিত ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণীর জন্য লাড়াই করেছেন কোবিন্দ৷ বিজেপির দুই প্রবীণ নেতা লালকৃষ্ণ আদবামী ও মুরলীমনোহর যোশীকে দলের সিদ্ধান্তের কথা জানান বেঙ্কাইয়া নাইডু৷ তবে রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী ঘোষণা করলেও উপরাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী নিয়ে এখনও কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বিজেপির তরফে৷
৭০ বছরের রামনাথ কোবিন্দ কানপুরের দলিত সম্প্রদায়ের নেতা৷ পেসায় আইনজীবী কোবিন্দ কাজ করেছেন দিল্লী হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টেও৷ ১৯৯৮ থেকে ২০০২ পর্যন্ত বিজেপির দলিত মোর্চার সর্বভারতীয় সভাপতিও ছিলেন৷ তার পাশাপাশি দীর্ঘদিন দলের জাতীয় মুখপাত্রের দায়িত্বের পদও সামলেছেন তিনি৷ ২০১৫ সালের ৮ আগষ্ট বিহারের রাজ্যপাল পদে কোবিন্দকে নিয়োগ করেন রাষ্ট্রপতি৷ ১৯৯৪ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন৷
এদিকে, রামনাথ কোবিন্দ রাষ্ট্রপতি হলে উপকৃত হবে দেশ৷ সোমবার রাষ্ট্রপতি পদে প্রার্থী হিসেবে বিহারের রাজ্যপাল রামনাথ কোবিন্দের নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি৷ এবিষয়েই নিজের এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ আজ টুইটারে তিনি বলেন, রামনাথ কোবিন্দ ব্যতিক্রমী রাষ্ট্রপতি হবেন৷ সেই সঙ্গে এও বলেন কোবিন্দ দেশের সংবিধান যতটা বোঝেন, দেশও তাতে উপকৃত হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি৷
প্রধানমন্ত্রী টুইট করে তাঁকে শাসক জোটের রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঘোষণার সমর্থন করে লেখেন, রামনাথ কোবিন্দ কৃষকের সন্তান৷ সমাজের নীচুতলা থেকে উঠে এসেছেন৷ জনসেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন, গরিব ও প্রান্তিক জনগণের হয়ে কাজ করেছেন৷ রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরও গরিব, পিছিয়ে পড়া, সমাজে কোণঠাসা মানুষের পক্ষে জোরালো কন্ঠস্বর হয়ে থাকবেন৷ আইনের দুনিয়ায় শ্রী কোবিন্দের যে গভীর জ্ঞান, উপলব্ধি আছে, সংবিধান ভালভাবে উনি বোঝেন, তা দেশের কাজে লাগবে, এও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ সোমবার বিকালেই কোবিন্দ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন৷

