নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৭ এপ্রিল৷৷ করোনার প্রকোপ ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশাসনের তরফ কঠোর মনোভাব গ্রহণ করা হয়েছে৷বাড়ি থেকে বের হলে প্রত্যেককে মাক্স পরিধান করা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে৷ সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকে প্রচার করা হচ্ছে৷ কিন্তু কে শোনে কার কথা৷ প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে, জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করে একাংশের মানুষজন মাক্স পরিধান না করেই রাস্তায় বের হচ্ছেন৷ অনেকক্ষেত্রেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা হচ্ছে না৷
প্রশাসনকে নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে৷ শনিবার আগরতলা পশ্চিম থানার সামনে বিভিন্ন যানবাহন ও দ্বিচক্রযান আটক করে মাক্স পরিধান করেছে কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছিল পুলিশ৷ যারা মাক্স পরিধান করেনি তাদেরকে ২০০ টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়৷ তাতেই বিপত্তি৷ এক দ্বিচক্রযান চালক মাক্স পরিধান না করায় কর্মকর্তারা তাকে আটক করে আর্থিক জরিমানা দেওয়ার কথা বলেন৷ কিন্তু আইন অমান্যকারী ওই ব্যক্তি কোনো অবস্থাতেই আর্থিক জরিমানা দিতে রাজি নন৷
তিনি পাল্টা আক্রমণ করে বলেন গত কিছুদিন আগে ত্রিপুরা জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সহ অন্যান্যরা মাক্স পরিধান করেননি৷ আইন শুধু সাধারণ মানুষের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন৷ কিরে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে রীতিমতো তর্কে জড়িয়ে পড়েন৷ তিনি স্পষ্ট ভাবে বলেন আর্থিক জরিমানা দেবেন না প্রয়োজনে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করুন৷ আদালতেই তিনি জবাব দিতে চান বলে স্পষ্ট ভাবে বলেন৷করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন৷ অবশ্য শেষ পর্যন্ত প্রশাসন এক্ষেত্রে পিছু ঘটে বলে জানা যায়৷