কংগ্রেসের ডাকা ১২ ঘন্টার ত্রিপুরা বন্ধে মিশ্র সাড়া

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ সেপ্ঢেম্বর৷৷ কংগ্রেসের ডাকে ১২ ঘণ্টার ত্রিপুরা বনধে মিশ্র সাড়া পড়েছে৷ যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল৷ দোকানপাট খুলেনি৷ ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছে৷ কিন্তু সরকারি অফিসে কর্মচারীদের উপস্থিতির হার ভালো ছিল৷ করোনা-প্রকোপে সুকল-কলেজ এমনিতেই বন্ধ৷ ফলে এই বনধকে সর্বাত্মক সফল বলতে চাইছেন না ওয়াকিবহালরা৷ সোমবার সকালে কংগ্রেসি পিকেটার্সদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে৷ তখন, পুলিশের সাথে পিকেটারদের কিছুটা ধস্তাধস্তিও হয়েছে৷ তবে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে৷


ত্রিপুরায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি এবং করোনা-প্রকোপের জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ী করে ১২ ঘণ্টার বনধ পালন করেছে৷ সকাল থেকেই ত্রিপুরায় বনধকে ঘিরে পরিস্থিতি থমথমে ছিল৷ দোকানপাট সম্পূর্ণ বনধ ছিল৷ যানবাহনও আজ রাস্তায় নামেনি৷ ফলে, রাজধানী আগরতলার রাস্তাঘাট কার্যত শুনশান ছিল৷ অবশ্য দুয়েকটি অটো এবং রিকশাকে রাস্তায় চলাচল করেছে৷ তাঁরা হতাশার সুরে বলেন, পেটের দায়ে বাড়ি থেকে বের হয়েছি৷ মার খেলে সহ্য করতেই হবে৷

এদিন সকালে পোস্ট অফিস চৌমুহনিতে অবস্থিত প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সামনে টায়ার পুড়িয়ে পিকেটাররা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন৷ এদিকে, উত্তর গেট এলাকায় পিকেটিং করার সময় পুলিশ কংগ্রেস কর্মীদের বাধা দিয়েছে৷ তখন পুলিশের সাথে তাদের তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়৷ বেশ কয়েকজন পিকেটারকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে৷ আজ ত্রিপুরায় বিভিন্ন স্থানে বনধকে ঘিরে টানটান উত্তেজনা ছিস৷ মফঃস্বলে অনেকেই ভয়ে বাড়ি থেকে বের হননি৷ দোকানপাটও খুলেননি৷ এতে কংগ্রেস দাবি করেছে, বনধ সর্বাত্মক ও সফল হয়েছে৷


কিন্তু সরকারি অফিসগুলিতে আজ কর্মচারীদের উপস্থিতির হার যথেষ্ট ছিল৷ ত্রিপুরা সরকার বনধের সময় অফিসে অনুপস্থিত থাকলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আগাম সতর্ক করেছিল৷ সম্ভবত ওই সতর্কবার্তায় কর্মচারীরা বনধের প্রতিকূলতা কাটিয়েও অফিসমুখো হয়েছেন৷ কোনও কোনও অফিসে কর্মচারীরা নির্দিষ্ট সময়ের কিছুটা দেরিতে পৌঁছেছেন৷ বিশেষ করে সচিবালয়ে আজ অন্যান্য বনধের তুলনায় কর্মচারীদের উপস্থিতির হার অনেক বেশি ছিল বলেই মনে হয়েছে৷