রতন লাল নাথকে অপ্রাসঙ্গিক কটাক্ষ করে বীরজিৎ জানালেন শীঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১২ জুন৷৷ কাঁটা গলা থেকে বের করাও যাচ্ছে না, আবার গিলে ফেলাও সম্ভব হচ্ছে না৷ বিধায়ক

রতন লাল নাথ

রতন লাল নাথকে নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেসের এই হাল হয়েছে৷ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিধায়ক বীরজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, বিধায়ক রতন লাল নাথের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ গুলি এআইসিসি’র দরবারে পাঠানো হয়েছে৷ দ্রুতই তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷
সোমবার এক প্রশ্ণের উত্তরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা জানিয়েছেন, অচিরেই রতনলাল নাথের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ তিনি বলেন, রতন লাল নাথকে ইতিমধ্যেই কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও তিনি কোন উত্তর দেননি৷ ফলে তাঁর বিরুদ্ধে উত্থাপিত যাবতীয় অভিযোগগুলি সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে৷ বীরজিৎ সিনহা বলেন, রতন লাল নাথকে নিয়ে কংগ্রেস আর বেশী গুরুত্ব দিতে নারাজ৷ তিনি অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পরেছেন৷ ইতিপূর্বেও সোনিয়া গান্ধীর নাগরিকত্ব নিয়ে অভিযোগ তোলায় তাঁকে একবার বহিষ্কার করা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে৷ কিন্তু ক্ষমা চাওয়ায় তাঁকে পুনরায় দলে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল৷ কিন্তু এখন আর বরদাস্ত করা হবে না৷ উল্লেখ্য, কংগ্রেস বিধায়ক রতন লাল নাথ রাজ্য বিধানসভায় বিমুদ্রাকরণ ইস্যুতে নরেন্দ্র মোদীর পক্ষে বিধানসভার ভিতরে জোরালো সওয়াল করেছিলেন৷ এরপর তিনি দিল্লি গিয়ে এবং পরে আগরলাতেও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন৷ সম্প্রতি তিনি রাজ্য বিজেপির প্রভারী সুনীল দেওধরের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে বার্তা পাঠিয়েছিলেন৷
তবে, তাঁকে বহিস্কারের পথে হাঁটতে চিন্তায় পড়েছে প্রদেশ কংগ্রেস৷ যেহেতু রতন লাল নাথ এআইসিসি সদস্য নন, তাই তাঁকে দল বিরোধী কাজের অপরাধে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নিজ ক্ষমতাবলে বহিস্কার করতে পারেন৷ রতনবাবুও চাইছেন তাঁকে দল থেকে বহিস্কার করা হোক৷ তাহলে তাঁর বিধায়ক পদ সুরক্ষিত থাকবে৷ ধারণা করা হচ্ছে, এসমস্ত কারণে প্রদেশ কংগ্রেস চটজলদি কোন সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না৷ বিষয়টি হাইকমান্ডের উপর ছেড়ে দিয়েছে৷ এখন কংগ্রেস হাইকমান্ড কি সিদ্ধান্ত নেয় তাই দেখার বিষয়৷