দলত্যাগীদের বিদ্রুপ করল সিপিএম, পাল্টা জবাবে রাজনৈতিক উত্তেজনা

আগরতলা, ১২ জুন (হিঃসঃ)৷৷ সিপিএম এর দুই নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজক বাক্য বিনিময় শুরু হয়েছে৷ অভিযোগ উঠেছে রাজনৈতিক শিষ্ঠাচারের মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়া নিয়েও৷ রবিবার সিপিআইএম এর সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করে দিয়ে রাজ্য বিধানসভা প্রাক্তন অধ্যক্ষ তথা ৬ বারের বিধায়ক জিতেন সরকার এবং ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের নির্বাচিত সদস্য জয় কিশোর জামাতিয়া বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ বিজেপিতে যোগদান কালে তারা সিপিআইএম নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বেশ কিছু বিস্ফোরক অভিযোগ আনেন৷ এবিষয়ে আজ সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যে কেউ একদল ছেড়ে অন্য দলে যেতেই পারে৷ কিন্তু বিষয় হচ্ছে বিজেপিকে নিয়ে৷ বিজেপিতে যে সব মাল মশলা সিপিআইএম থেকে ঢুকছে তাতে বিজেপি পার্টিটাই ময়লাখলায় পরিণত হচ্ছে৷ তিনি আরও বলেন, পার্টিতে থেকে পাটির আভ্যন্তরীণ বিষয়গুলির আলাপ আলোচনা জন্য উত্থাপন করলে নেতৃত্ব তাতে গুরুত্ব দেয়৷ কিন্তু পার্টি থেকে বেরিয়ে গিয়ে কোন অভিযোগ করলে তা মূল্যহীন হয়ে পরে পার্টির গঠনতন্ত্রে এসব নিয়ে আলোচনার কোন স্থান নেই৷ জিতেন সরকার ও জয় কিশোর জামাতিয়ার বক্তব্যও পার্টির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিচার্য বিষয়ই নয়৷ বিজন বাবুর বক্তব্যে উষ্মা প্রকাশ করে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া জিতেন সরকার বলেন, রাজনীতিতে শিষ্টাচার বলতে কোন বিষয় আছে তা সিপিআইএমের নেতারা ভুলে গেছেন৷ বিজন বাবুর অনেক আগে আমি পার্টিতে এসেছি৷ এমনকি মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারেরও বহু আগে পার্টির জন্য কাজ শুরু করেছি৷ টানা ৪৫ বছর সিপিআইএমের জন্য ঘাম ঝরিয়েছি৷ ফলে কোন বক্তব্য রাখার আগে চিন্তা করা উচিৎ বিজন বাবুদের৷ অন্যদিকে,জয়কিশোর জামাতিয়া প্রতিক্রিয়ার বলেন, রবিবার বিকালে ৪টায় তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন৷ আর যোগ দেওয়ার খবর আগেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে৷ তখন সকাল ১০টায় থেকে বহুবার বহু নেতা ফোন করেছেন এবং সরাসরি সাক্ষাৎ করে পার্টিতে যাবতীয় মর্যাদা ফিরিয়ে দেবার আশ্বাস দেন৷ এমনকি জেলা সম্পাদক করার প্রস্তাবও দেন৷ বিজন বাবুর মতে আবর্জনা হলে আমাকে নিয়ে এত চেষ্টা তারা কেন করেছিলেন তার জবাব দিতে হবে৷ এই ইস্যুতে রাজ্য রাজনীতিতে এখন তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়েছে৷ সিপিএম জিতেন বাবুদের সুবিধাবাদী বলেও অভিযোগ করেছেন৷