দিল্লী এলজির সচিবালয়ের নির্দেশ: অবৈধ আধার কার্ড ইস্যু মোকাবিলায় কঠোর পদক্ষেপ

নয়াদিল্লি, ১১ জুলাই : দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভি.কে. শেঠনার সচিবালয় শুক্রবার দিল্লি সরকারকে তৃতীয় পক্ষের ভেন্ডরদের মাধ্যমে আধার কার্ড ইস্যু করার কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। এছাড়া, আধার এনরোলমেন্ট ও আপডেটের কাজ শুধুমাত্র রেজিস্ট্রারের নিজস্ব কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিত, এমনটাই বলা হয়েছে।

একটি চিঠির মাধ্যমে দিল্লির প্রধান সচিব ধর্মেন্দ্রকে পাঠানো নির্দেশনায় এলজি সচিবালয় অবৈধ অভিবাসীদের আধার কার্ড সংগ্রহের বিষয়টি সামনে আনে। এটি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি স্বরূপ এবং স্থানীয় কর্মসংস্থানের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, পাশাপাশি অবৈধ অভিবাসীরা সরকারী কল্যাণ প্রকল্পগুলির সুবিধা নিতে সক্ষম হচ্ছে—এমন অভিযোগও করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে অবৈধ অভিবাসী বিশেষ করে বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, তারই পরিপ্রেক্ষিতে আধার কার্ড ইস্যু বিষয়ক কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে।

দিল্লির খাদ্য ও সরবরাহ মন্ত্রী মঞ্জিন্দর সিং সরসা জানিয়েছেন, “বিজেপি সরকার অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত পদক্ষেপ নেবে। রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশিদের দিল্লিতে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে দেওয়া হবে না। পূর্ববর্তী আপ সরকার যেভাবে তাদের সুযোগ দিয়েছিল, আমাদের সরকার সে পথে হাঁটবে না।”

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে, রেজিস্ট্রারদের আধার কার্ড ইস্যু করার নিয়ম-কানুন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে এবং তৃতীয় পক্ষের ভেন্ডর ব্যবহার না করার জন্য দুই মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া, ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত আধার এনরোলমেন্ট সেন্টারের একটি বিস্তারিত তালিকা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং প্রতিটি কেন্দ্রের কার্যক্রমের প্রতি আরও নজরদারি বাড়ানোর জন্য বলা হয়েছে।

এছাড়া, এলজি সচিবালয় নির্দেশ দিয়েছে যে, সমস্ত আধার সেন্টারের মাসিক অডিট হবে এবং এই অডিটের মাধ্যমে নিশ্চিত করতে হবে যে কোনো অবৈধ বা ভুয়া আধার কার্ডধারী ব্যক্তি দিল্লির সরকারী কল্যাণ প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণ করতে পারবে না।

এমনকি, ইউআইডিএআই -এর দেওয়া আধার (এনরোলমেন্ট ও আপডেট) বিধিমালা ২০১৬ অনুসরণ করে সমস্ত প্রক্রিয়া, সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে, যাতে সুরক্ষা ব্যূহ ভাঙা সম্ভব না হয়।