মালদা, ৮ সেপ্টেম্বর (হি.স): কেন্দ্রীয় জল সম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতীয় সাথে দেখা করতে দিল্লি যাচ্ছেন বৈষ্ণবনগরের বিজেপি
বিধায়ক স্বাধীন সরকারের নেতৃত্বে পাঁচজনের প্রতিনিধি দল| ১১ সেপ্টেম্বর কলকাতা হয়ে দিল্লিতে যাবেন মালদার বিধায়ক| ১৩ সেপ্টেম্বর দেখা করে মালদায় ফিরে আসবেন তারা| বস্তুত মালদায় গঙ্গার স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধের দািব জানাবেন বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বে থাকা ওই প্রতিনিধি দল| পাশাপাশি রাজ্যের কাছে ভিটে মাটি হারানো মানুষদের পুনর্বাসনের দাবী জানাবেন তারা| ভাঙনের কারণ হিসাবে ফরাক্কা ব্যারেজের ইঞ্জিনিয়ারদের বক্তব্য, গঙ্গার আপে ফরাক্কা ব্যারেজ সংলগ্ন এলাকায় কয়েক কিলোমিটার দূরে চর জেগে উঠেছে| এছাড়াও নদী সংলগ্ন এলাকায় আরও ছোট-বড় চর জেগে উঠছে| এই চরের কারনেই গঙ্গা বামদিকে ঘেষে (কালিয়াচক ৩ ব্লক) ঘেষে বইছে| চরের বিষয়টি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ দপ্তরের নজরে এনেছে ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার রাজেন্দ্র কুমার সিং| ফরাক্কা ব্যারেজের জেনারেল ম্যানেজার অবশ্য চররে কথা স্বীকার করেছেন| শোভাপুর-পারদেওনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম দলের প্রধান মায়া সরকার বলেন, গঙ্গার ভাঙনের ফলে কোথাও ২০০ মিটার, আবারও কোথাও ১ কিলোমিটার নদী ঢুকে পড়ছে| বর্তমানে পারলালপুর গ্রামের রাধা মন্দিরে দেওয়াল ঘেঁষে বইছে গঙ্গা নদী| এবছর ভাঙন যে মারাত্মক াকার নিয়েছে| সেই ধারা বজায় থাকলে গোটা গ্রাম পঞ্চায়েতটা আগামী বছরের মধ্যে বিলীন হয়ে যাবে নদীগক্ষে| গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফ থেকে বিডিও অফিসকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে| এখনও বহু মানুষ পারদেওনাপুর হাইস্কুলে আশ্রয় নিয়ে আছেন| বন্যার জল সরে গেলে এরা কোথায় থাকবেন সেটা নিয়েও ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে| বিজেপি বিধায়ক স্বাধীন সরকার বলেন, দিল্লিতে উমা ভারতীয় কাছে স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধের দাবী জানানো হবে| ফরাক্কা ব্যারেজ থেকে আপে পারদেওনাপুর পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন হচ্ছে| আমাদের দাবী হবে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করতে হবে শুখা মরশুমে| কারণ, ফরাক্কা ব্যারেজ বন্যার মুখে কাজ করে| সেই কাজ জন সাধারণের কাজে আসে না| এটা এবার চলতে দেওয়া যাবে না| গত ৩১ আগস্ট কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল ভাঙন এলাকা ঘুরে দেখলেন| তাদেরকেও বলা হয়েছে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ শুখা মরশুমে করতে হবে| তা না হলে বিননগর ১ এবং শোভাপুর – পারদেওনাপুর এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত পুরোটাই নিশিচহ্ন হয়ে যাবে| সবথেকে খারাপ অবস্থা শোভাপুর-পারদেওনাপুর পঞ্চায়েতের| সেখানে খাসপাড়া, গোলাপমোড় পাড়া, পরাণপাড়া এবং পারলালপুর এই চারটি ভাঙনের মুখে| সেখানে ২১ হাজার মানুষের বসবাস| এই পারলালপুরের আপে ৫ কিলোমিটার পরেই বাংলাদেশে গঙ্গা প্রবেশ করে পদ্মার মিশেছে| ফলে বৈষ্ণবনগরে ভারত-বাংলাদেশের আর্ন্তদেশীয় ভাঙনটা ভীষণই জরুরী বলে মনে করছেন বিধায়ক স্বাধীন সরকার| দিল্লিতে জলসম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতীকে এই বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে| তার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি আমাদের সময় দিয়েছেন দেখা করার জন্য| মন্ত্রীর সময় পাওয়ার পরই আমরা দিল্লি .যাচ্ছি|
2016-09-09
