BRAKING NEWS

(রাউন্ড আপ) বরাবাঙ্কি, ফতেহপুর এবং হামিরপুরে আয়োজিত জনসভা থেকে সপা-কংগ্রেসের তোষণ ও দুর্নীতির রাজনীতিকে তীব্র আক্রমণ মোদীর

লখনউ, ১৭ মে (হি. স.) : মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী, শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের বরাবাঙ্কি, ফতেহপুর এবং হামিরপুরে আয়োজিত বিশাল জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময়, সপা এবং কংগ্রেসের তোষণের ও দুর্নীতির রাজনীতিকে তীব্র আক্রমণ করেন এবং দেশে একটি শক্তিশালী বিজেপি সরকার গঠনের আহ্বান জানান।

উক্ত অনুষ্ঠানে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী যোগী আদিত্যনাথ, উত্তর প্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কেশব প্রসাদ মৌর্য, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও আপনা (এস) দলের সভাপতি শ্রীমতি অনুপ্রিয়া প্যাটেল, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও মোহনলাল গঞ্জের লোকসভা প্রার্থী শ্রী কৌশল কিশোর, বারাবাঙ্কির প্রার্থী শ্রীমতি রাজরানি রাওয়াত, বান্দার প্রার্থী শ্রী আর কে প্যাটেল, কৌশাম্বী প্রার্থী শ্রী বিনোদ সোনকার, ফতেহপুরের প্রার্থী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি এবং হামিরপুরের প্রার্থী শ্রী কুনওয়ার পুষ্পেন্দ্র সিং চন্দেল এবং অন্যান্য নেতারা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

শ্রী মোদীজি বলেন যে এখন গোটা দেশ এবং বিশ্ব জানে যে মোদী সরকার হ্যাটট্রিক করতে চলেছে। নতুন সরকার গঠনের পর আমাকে দরিদ্র্য, তরুণ সম্প্রদায়, মহিলা ও কৃষকদের জন্য বেশকিছু বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সেইজন্যই আমি বরাবাঙ্কি ও মোহনলাল গঞ্জের মানুষের কাছে আশীর্বাদ নিতে এসেছি। একদিকে, দেশের স্বার্থে নিবেদিত বিজেপি এবং এনডিএ-র জোট, অন্যদিকে, ইন্ডি জোট রয়েছে যা দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। নির্বাচন যত এগোচ্ছে, ততই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ছে ইন্ডি জোটের নেতারা। এখন আমাদের শাহজাদে বাবুয়া এক নতুন পিসির আশ্রয় নিয়েছেন এবং তিনি বাংলায় থাকেন। বাংলায় ইন্ডি জোটের আরেকটি দল অন্য দলকে পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে কিছু বলা থেকে সতর্ক করেছে। কংগ্রেসের এক নেতা বলছেন, রায়বরেলির মানুষ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবে, এই কথা শুনে সমাজবাদী পার্টির শাহজাদের মন ভেঙে গেছে। জনগণ তাদের মূল্যবান ভোট এই খিচুড়িদের দিয়ে নষ্ট করবে না। বিজেপি সাংসদরা তাদের এলাকার মানুষের জন্য আরও বেশি প্রকল্প নিয়ে আসবেন এবং উন্নয়নে আরও কাজ করবেন। কিন্তু ইন্ডি জোটের কোনো প্রার্থী সাংসদ হলে তিনি শুধু মোদীকে গালিগালাজ করবেন । জনগণ এমন একজন সাংসদ চায় যিনি কাজ করেন, এলাকার উন্নয়ন করেন এবং তাদের কথা শোনেন, এমন একজনকে নয় যিনি মোদীকে ৫ বছর ধরে গালি দেন।

বরেণ্য প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে যখন শক্তিশালী সরকার থাকে, তখন পার্থক্য স্পষ্টভাবে দেখা যায়। দুর্বল সরকার আজ এখানে আছে কাল নয়। একটি দুর্বল সরকারের পুরো মনোযোগ থেকে নিজস্ব সরকারকে বাঁচানোর দিকে। যেমন একটি ১০০ সিসি ইঞ্জিন ১০০০ সিসি গতি দিতে পারে না, ঠিক একইভাবে শুধুমাত্র একটি শক্তিশালী বিজেপি সরকারই দ্রুত উন্নয়নের গতি দিতে পারে। বিজেপির শক্তিশালী সরকারের অর্থ আওধ অঞ্চলের মানুষের চেয়ে ভালো কেউ জানে না। বারাবাঙ্কির মানুষ পায়ে হেঁটে রাম নামের ইট অযোধ্যায় নিয়ে গিয়েছিলেন। আমাদের পূর্বপুরুষদের ৫০০ বছরের সংগ্রাম, ত্যাগ ও আত্মত্যাগের পর বিশাল রাম মন্দির নির্মাণ হয়েছে। তাঁবুতে রাম লালাকে দেখে রামভক্তদের কান্না থামেনি, কিন্তু এখন ৫০০ বছরের প্রতীক্ষার ফল এসেছে। রাম মন্দির নির্মাণ মোদীর কারণে নয়, জনগণের ভোটের কারণে হয়েছে। জনগণের ভোটে একটি মজবুত ও শক্তিশালী সরকার গঠন করা হয়েছে যা এই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়েছে।

শ্রী মোদীজি বলেছেন, কংগ্রেস এবং সপা নেতারা প্রথমে রাম লালাকে তাঁবুতে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং তারপরে নিজেদের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করার জন্য তারা মন্দিরের জায়গায় একটি ধর্মশালা, স্কুল বা হাসপাতাল তৈরির সুপারিশ করেছিল এবং মন্দির প্রতিষ্ঠার পর রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার আমন্ত্রণও প্রত্যাখ্যান করেছিল। সপা-র এক বড় নেতা রাম মন্দিরকে বেকার বলছেন, যখন কংগ্রেস রাম মন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত উল্টে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং খোদ কংগ্রেসের এক নেতা এই ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের কথা জানিয়েছেন। শ্রী মোদী বলেছেন, স্বাধীনতার সময়ও, যখন প্রতিটি নাগরিক দেশ বিভাজনের বিরোধিতা করছিল, তখন কংগ্রেস দেশকে টুকরো টুকরো করে দিয়েছিল। কংগ্রেসের কাছে বরাবরই অগ্রাধিকার ছিল দেশ নয়, নিজেদের পরিবার এবং ক্ষমতা, এটাই কংগ্রেসের ট্র্যাক রেকর্ড। সপা-কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় এলে তারা রামলালকে আবার তাঁবুতে পাঠাবে এবং মন্দিরে বুলডোজার চালাবে। সপা-কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের কাছ থেকে শেখা উচিত কোথায় বুলডোজার ব্যবহার করতে হবে আর কোথায় নয়। এমন লোকজনকে মানুষ ভোট দিতে পারে না। সপা-কংগ্রেসের কাছে তাদের ভোটব্যাঙ্কের চেয়ে বড় কিছু নয়। আমি তাদের উন্মোচন করলে তারা অস্থির হয়ে যায় এবং কিছু বলতে শুরু করে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, সংবিধান তৈরির সময় বাবা সাহেব ডক্টর ভীম রাও আম্বেদকর ছিলেন ধর্মভিত্তিক সংরক্ষণের সবচেয়ে বড় বিরোধী। গণপরিষদ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংরক্ষণ থাকবে না। কিন্তু দশ বছর আগে, উত্তরপ্রদেশে, সপা ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করেছিল এবং কর্ণাটকে কংগ্রেসও ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ দিয়েছে। কর্ণাটকে কংগ্রেস রাতারাতি ওবিসি করে সমগ্র মুসলিম সম্প্রদায়কে ওবিসি সংরক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করেছে এবং ওবিসি সংরক্ষণ লুট করেছে। দেশের মানুষ এসসি, এসটি ও ওবিসি-দের অধিকার কেড়ে নিতে দেবে না। বাবা সাহেব আম্বেদকরের দেওয়া সংবিধানকে কেউ স্পর্শ করতে পারবে না। বিহারের পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির চ্যাম্পিয়ান বলেছেন যে এখন একটি নির্দিষ্ট শ্রেণিকে সম্পূর্ণ সংরক্ষণ দেওয়া উচিত। যার অর্থ দলিত, উপজাতি, ওবিসিদের সংরক্ষণের অবসান ঘটিয়ে একটি বিশেষ শ্রেণীর জন্য পরিবেশন করা। আমি আপনাকে এবং আপনাদের অধিকার রক্ষার জন্য ৪০০ সমান আসন চাইছি।

শ্রী মোদীজি বলেছেন, আমি আগেই বলেছিলাম যে রাহুল গান্ধী ওয়ানাড থেকে পালিয়ে যাবেন এবং আমেঠির দিকে যেতে সাহস করবেন না এবং তিনি রায়বরেলিতে পালিয়ে গেছেন। এখন কংগ্রেস সম্মান বাঁচাতে মিশন ৫০-এ কাজ করছে। এখন কংগ্রেস ৫০টি আসন জেতার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে এবং এ জন্য ভানুমতীর ভূমিতে হাওয়া দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু প্রথম দিন থেকেই টায়ার পাংচার হলে ইন্ডি জোট কতদূর যেতে পারবে? এখন কংগ্রেসে ৪ জুনের পর পরাজয়ের দায় চাপানোর পরিকল্পনা শুরু হয়েছে। উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের কোনো অস্তিত্ব নেই এবং সমগ্র কংগ্রেস “পরিবারের” সম্মান বাঁচাতে নিয়োজিত, কিন্তু তারপরও প্রতি নির্বাচনে দু’জনের জোড়া লঞ্চ করা হয়, কারণ কংগ্রেস এবং সপা উভয়ের রাশিফল এবং সমস্ত গুণ একই রকম। এই উভয় দলই পরিবারতন্ত্রের জন্য নিবেদিত, দুর্নীতির জন্য রাজনীতি করে, তাদের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করার জন্য যে কোনও কিছু করতে পারে, অপরাধী এবং মাফিয়াদের প্রচার করতে পারে এবং উভয়ই সন্ত্রাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল। তাই, সপা ও কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে সন্ত্রাসীরা মুক্ত হয়। সপা-র শাসনকালে ওয়ান ডিস্ট্রিক্ট ওয়ান মাফিয়ার মডেল চলছিল এবং সপা প্রতিটি জেলা এক মাফিয়াকে চুক্তিতে দিয়েছিল। এই কারণে অপহরণ ও মুক্তিপণ শিল্প শুরু হয় এবং নারীদের ঘর থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু বিজেপি সরকার আসার পর থেকে এই মাফিয়ারা ক্ষমা চেয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সপা-র মাফিয়া মোহ এখনও শেষ হয়নি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শ্রী কল্যাণ সিংয়ের মৃত্যুতে, সপা প্রধান তাকে শ্রদ্ধা জানাতেও যাননি, কারণ শ্রী কল্যাণ সিং রাম মন্দিরের সমর্থক ছিলেন এবং অখিলেশ যদি তাকে শ্রদ্ধা জানাতে যেতেন, তবে সপা-র ভোটব্যাঙ্ক রেগে যেত। এই লোকজন তুষ্টির জন্য যে কোনও সীমা অতিক্রম করতে পারে। শ্রী মোদী বলেছেন, দেশে হামলা হলে কংগ্রেস পাকিস্তানকে ক্লিন চিট দিত কিন্তু গেরুয়া সন্ত্রাসের নতুন মিথ্যা তৈরি করত। সপা সরকার দাঙ্গাবাজদের দেখভাল করত এবং দাঙ্গাকারীরা হেলিকপ্টারে করে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে দেখা করতে আসত। সপা সরকার অভিযুক্তদের মামলা তুলে নিত। এখন সপা-কংগ্রেস আবার সমাজকে বিভক্ত করার জন্য বিষ ছড়াচ্ছে এবং তারা মনে করে আমাদের সমাজ ভেঙে তারা নিজেদের কাজব হাসিল করতে পারবে।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসপি-র শাসনকালে উত্তর প্রদেশকে অপরাধপ্রবণ রাজ্য হিসেবে গণ্য করা হত, কিন্তু এখন বিজেপির আমলে উত্তর প্রদেশকে উন্নত রাজ্য হিসেবে গণ্য করা হয়। এখন উত্তর প্রদেশে সর্বাধিক এক্সপ্রেসওয়ে, বিমানবন্দর-সহ শহর রয়েছে। বিজেপি সরকার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শুরু করেছিল এবং এই প্রকল্পের অধীনে দেশের সমস্ত রাজ্যে পাকা বাড়ি নির্মাণ শুরু হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর প্রদেশে বাড়ি তৈরির জন্য এসপি সরকারের কাছে একটি তালিকা চেয়েছিল, কিন্তু প্রাসাদে থাকা এই সরকার গরিবদের নামের তালিকা পাঠায়নি। উত্তর প্রদেশের গরীবদের এই অপমান আমি সহ্য করতে পারিনি। বিজেপি সরকার আসার পর প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার মাধ্যমে বাড়ি তৈরি হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত বিজেপি সরকার শহরে ১৫ লক্ষ স্থায়ী বাড়ি এবং গ্রামে ৩৫ লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরি করেছে এবং তা দরিদ্রদের দেওয়া হয়েছে। যারা এখনো পায়নি, তাদেরও পাকা ঘর দেওয়ার গ্যারান্টি দিচ্ছি। কীভাবে উন্নয়ন করতে হয় তা ফতেপুর, কৌশাম্বী ও বান্দার মানুষরা বুঝতে পারছেন। আগে এই এলাকাটিকে পরিকাঠামোর দিক থেকে পিছিয়ে থাকা অঞ্চল বলা হত। কিন্তু আজ ৬ লেনের কানপুর কলকাতা হাইওয়ে তৈরি হচ্ছে, লিংক রোড এবং অমৃত রেলস্টেশন সহ সবই উন্নয়নের কাজ হচ্ছে।

মাননীয় মোদী বলেন যে, আজ আমি এসপি এবং কংগ্রেসের থেকে জনগণকে সতর্ক করতে এসেছি, এই লোকেরা আপনার ভোট নেয় কিন্তু সরকারে আসার পরে তারা ভোট জিহাদীদের তা দিয়ে দেয়। এসপি-কংগ্রেসের শাসনকালে বুন্দেলখণ্ড-এ কত সম্যস্যা ছিল, তা কারও কাছে গোপন নয়। বুন্দেলখণ্ডের মানুষ প্রতিটি ফোঁটা জলের জন্য আকুল থাকতো। একটা সময় ছিল যখন খরা-ই বুন্দেলখণ্ডের পরিচয় হয়ে গিয়েছিল। গরমে জলের জন্য ট্রেন চালানোর প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। এসপি-কংগ্রেস নিজেরাই বুন্দেলখন্ড ছেড়ে চলে গিয়েছিল এবং হাল ছেড়ে দিয়েছিল। কিন্তু যিনি চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করেন তাঁর নাম মোদী”। বিজেপি কলের জলের ব্যবস্থা করেছে এবং জলের ট্যাঙ্ক স্থাপন করেছে, যার ফলস্বরূপ আজ ৪০০টিরও বেশি গ্রামে জল পৌঁছেছে এবং প্রায় ১.৭৫ লক্ষ গ্রামে বিশুদ্ধ জলের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। কেন-বেতওয়া লিঙ্ক প্রকল্পের জন্য বিজেপি সরকার কাজ শুরু করেছে এবং এতে ৪০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে গেছে। এই প্রকল্পটি শেষ হওয়ার পরে, বুন্দেলখণ্ডে একটি নতুন অধ্যায় শুরু হবে এবং উন্নয়ন নতুন মাত্রা পাবে। একমাত্র বিজেপিই এই পরিকল্পনা সম্পন্ন করতে পারে। আগের সরকারের আমলে বুন্দেলখণ্ডের কৃষকরা আত্মহত্যা করতে বাধ্য হতো, কিন্তু আজ প্রধানমন্ত্রী কিষান সম্মান নিধির মাধ্যমে হামিরপুর, ঝাঁসি এবং জালাউনের কৃষকদের মোদী ১,৮০০ কোটি টাকা সহায়তা দিয়েছেন। আগের সরকার বুন্দেলখণ্ডকে রুক্ষ অঞ্চল বলে পরিচয় দিত। কিন্তু আমি বলি বুন্দেলখণ্ড হলো বীরত্ব ও উন্নয়নের এলাকা।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসের যুবরাজ বলছেন জনগণের কষ্টার্জিত সম্পদের তল্লাশি করবেন, এর অর্থ তিনি জনগণের কষ্টার্জিত অর্থ লুট করতে চান। তারা আপনার কাছ থেকে আপনার সম্পদ নিয়ে নিজেদের ভোটব্যাংকে দেবে। এসপি এবং কংগ্রেস তোষণের রাজনীতির কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। মোদী যখন তাদের সত্য প্রকাশ্যে আনছে, তারা তখন বলছে যে মোদী হিন্দু-মুসলিম এর রাজনীতি করছেন। কংগ্রেস এবং এসপির দুর্নীতি জানাতে জনগণের সামনে আসেন মোদী। এইসব দলের লোকেরা সংবিধান বিরোধী, দলিত বিরোধী এবং অনগ্রসর শ্রেণীর বিরোধী। মোদী ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরে সংবিধান কার্যকর করেছেন। এর ফলে সেখানকার অনগ্রসর শ্রেণীর লোকেরাও তাদের অধিকার পেয়েছে। মাত্র কয়েকদিন আগে, সিএএ-র মাধ্যমে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে দলিতদের প্রতি এসপি অনেক অবিচার করেছে এবং এখানকার প্রতিটি শিশুও এটি জানে। এই লোকেরা মোদীর বিরুদ্ধে গুজব ছড়াচ্ছে। বিজেপি সরকার বরাবাঙ্কির কৃষক রামশরণ ভার্মাকে পদ্ম পুরস্কার দিয়েছে এবং কৃষিতে তাঁর অবদানকে বিজেপি সম্মান করে। কংগ্রেস বেণী বাবুর মতো একজন প্রবীণ নেতাকে অপমান করলেও তা দেখে এসপির যুবরাজ চুপ করে থাকে। বিজেপি সরকার সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা প্রয়াস এবং সবকা বিশ্বাসের মন্ত্র অনুসরণ করে কাজ করে। বিনামূল্যে রেশন হোক, বিনামূল্যে চিকিৎসা হোক, পাকা বাড়ি হোক, সস্তার গ্যাস সিলিন্ডার হোক বা কলের জলের সংযোগ দেওয়া, বিজেপি কোনও ভেদাভেদ করে না। সবার উপকার করে বিজেপি। তিন তালাক আইনে মা-বোনেরা খুশি হয়ে বিজেপিকে আশীর্বাদ করছেন। এখন দেশের কাজ করার সময়। রাম কাজ-এর থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এখন দেশের কাজ করতে হবে। এই এলাকাটি কৃষিপ্রধান এলাকা। এখানকার তৈরি গামছা খুব বিখ্যাত, শ্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার এই গামছাকে জিআই স্বীকৃতি দেওয়ার কাজ করেছে।

মাননীয় মোদী বলেন যে শ্রী রামের সঙ্গে সংযুক্ত স্থানগুলিকে বিজেপি সরকার রামায়ণ সার্কিটের মাধ্যমে উন্নয়ন করছে। রাজ্যে মহাদেব করিডোরের উন্নয়নও হচ্ছে। এ ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ আমাদের ঐতিহ্যকেও আরও শক্তিশালী করবে এবং পর্যটন শিল্পের মাধ্যমে তরুণদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে। উন্নয়নশীল এবং ঐতিহ্যবাহী বিকশিত ভারত গড়তে জনগণের আশীর্বাদ চাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জি স্থানীয় প্রার্থীদের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সাথে বিজয়ী করতে, বিপুল সংখ্যায় ভোট দিয়ে দেশে আবারও বিজেপি সরকার গঠনের জন্য জনগণের কাছে আবেদন করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *