ত্রিপুরার অর্থনীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে কৃষি : সচিব

আগরতলা, ৭ জুন (হি.স.) : ত্রিপুরার অর্থনীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে কৃষি। ত্রিপুরার মোট জিএসডিপি-র ৪৩ শতাংশ প্রাইমারি সেক্টর থেকে আসে। এরমধ্যে কৃষি ও কৃষি সহযোগী ক্ষেত্রগুলি থেকে ৩৬ শতাংশ আসে। আজ সবিচালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে একথা জানালেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের সচিব অর্পূব রায়।

এদিন তিনি বলেন, ত্রিপুরায় মোট ভৌগোলিক আয়তনের ২৪ শতাংশ কৃষিযোগ্য জমি আছে। এবছর আমন ধানচাষের জন্য প্রায় ১ লক্ষ ৪৮ হাজার হেক্টর এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এরজন্য কৃষকদের বিভিন্ন উৎপাদন সামগ্রী দেওয়ার উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

সাথে তিনি যোগ করেন, জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমন ধানের বীজতলা তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে কৃষকরা। তাঁর দাবি, ত্রিপুরায় বর্তমানে ৩২টি কৃষি মহকুমায় কৃষকবন্ধু কেন্দ্র চালু রয়েছে।কৃষকবন্ধু কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশিক্ষণ সহ বিভিন্ন পরামর্শ কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে। ত্রিপুরায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে মিলেট চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।ছোট দানাদার খাদ্যশস্য মিলেটের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন,  চলতি অর্থবর্ষে দপ্তর ১ হাজার ৩৩০ হেক্টর এলাকায় ফল চাষ, ২,৫০০ হেক্টর এলাকায় সব্জি চাষ, ৪০০ হেক্টর এলাকায় মশলার চাষ করার উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া পুরোনো ফল বাগানের সংস্কার করা হবে ৫৫২ হেক্টর। নতুন ২টি নার্সারিতে ২ লক্ষ চারা লাগানো হবে বলে জানান তিনি।

তাছাড়া, কৃষি কাজে দক্ষতা বাড়াতে মোট ৫,৩৬৯ জন কৃষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ধলাই জেলার আমবাসাতে ১টি ইন্টিগ্রেটেড প্যাক হাউস স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় ২০২৩-২৪ সালে মোট ১ লক্ষ কৃষক পরিবারের মধ্যে ১৫ লক্ষ ফলের চারা ও ১ লক্ষ সব্জি বীজের প্যাকেট বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *