আগরতলা, ৪ জুন : রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই হবে বলে সুর চড়িয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস। শনিবার দুপুরে আগরতলা কংগ্রেস ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিত সিনহা বলেন, উপনির্বাচনে সবকটি আসনেই কংগ্রেস প্রার্থীদের জয়ী করার জন্য কংগ্রেস দলের নেতা-কর্মীরা সর্বাত্মক প্রয়াস জারী রাখবে। যেকোনো ধরনের সন্ত্রাস প্রতিহত করতেও কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা প্রস্তুত রয়েছেন বলে জোর গলায় বলেন তিনি।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বিজেপির বাইক বাহিনী ও হেলমেট বাহিনীকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, তারা যদি কোন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সংঘটিত করার চেষ্টা করে কংগ্রেস দল তার যোগ্য জবাব দেবে। বাইক বাহিনীকে সতর্ক হতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিতে গিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, মন্ত্রী, বিধায়ক সহ নেতাদের ছেলেমেয়েরা আনন্দ উল্লাসে রাজকীয় ভাবে জীবন যাপন করছে। অথচ বেকার সহ একাংশের যুবককে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সংগঠিত করার জন্য যেভাবে লেলিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাতে তাদের জীবন সংশয় হতে পারে। সময় থাকতে তাদেরকে এ বিষয়ে সচেতন হতে আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। কারোর প্ররোচনায় এ ধরনের কার্যকলাপ শামিল হওয়া কোনোভাবেই সমুচিন নয় বলেও পরামর্শ দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই তাদেরকে সংযমী মনোভাব গ্রহণ করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আরও বলেন, যেকোনো মূল্যে উপনির্বাচনে কংগ্রেস দলের প্রার্থীরা জয়ী হতে কোমর বেঁধে ময়দানে নামবে। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি রাজ্যের জনগণকে যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে শাসন ক্ষমতায় এসেছে সেই সব প্রতিশ্রুতি তারা পালন করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। রাজ্যের জনগণ বিজেপির মিথ্যা প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে পুরোপুরি ওয়াকিবহাল। জনগণের প্রতি বিজেপি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, কটাক্ষ কর বলেন তিনি।বাইক বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়ে সন্ত্রাস চালিয়ে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার স্বপ্ন ভুলে যাওয়ার জন্য বিজেপি দলকে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে কংগ্রেস দল। তাঁর সাফ কথা, রাজ্যের জনগণ উপনির্বাচনে শাসক দলকে উচিত শিক্ষা দিতে প্রস্তুত রয়েছেন। পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে প্রদেশ কংগ্রেসের তরফ থেকে বলা হয়েছে উপনির্বাচনের প্রতিটি কেন্দ্রে দলীয় প্রার্থীরা বিপুল ভোটে জয়ী হন সেজন্য সকলকেই সর্বশক্তি নিয়ে ময়দানে নামতে হবে। উপ-নির্বাচনে জয় দলের কাছে আত্মমর্যাদার লড়াই বলেও উল্লেখ করেন তিনি।