আগরতলা, ১৮ জানুয়ারি : করোনার প্রকোপে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ত্রিপুরায় প্রদেশ বিজেপি রাজ্যস্তরের পাশাপাশি জেলা ও বুথ স্তরে কমিটি গঠন করেছে। ওই কমিটির সদস্যরা করোনা মোকাবিলায় সেবা মূলক কাজের জন্য উত্সর্গিত থাকবেন। শুধু তাই নয়, একটি হেল্পলাইন চালু করবে প্রদেশ বিজেপি যুব মোর্চা। ওই হেল্পলাইনের সহায়তায় করোনা আক্রান্তদের সমস্ত রকম সহায়তা করা হবে।
এ-বিষয়ে এক বিবৃতিতে প্রদেশ বিজেপি মিডিয়া ইনচার্জ জানিয়েছেন, ভারতীয় জনতা পার্টি মানব সেবাকেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে থাকে। সংগঠন গড়ার ক্ষেত্রেও ভারতীয় জনতা পার্টির মূল মন্ত্র “সেবা হি সংগঠন”। সেবামূলক কাজকর্মের মাধ্যমেই ভারতীয় জনতা পার্টি মানুষের মাঝে সবসময় উপস্থিত থাকে। করোনার মোকাবিলায়ও ভারতীয় জনতা পার্টির কার্যকর্তারা অনেক সেবামূলক কাজকর্মের উৎকৃষ্ট উদাহরণ রেখেছেন। বর্তমানে দেশে তথা রাজ্যেও করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। এই কঠিন পরিস্থিতিতেও মানুষের যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য ভারতীয় জনতা পার্টির প্রদেশ সভাপতি অধ্যাপক (ডাঃ) মানিক সাহা করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সহ-সভাপতি রাজীব ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ৫ সদস্যের এক রাজ্যস্তরীয় কমিটি গঠন করেন। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন তাপস মজুমদার, ঝর্ণা দেববর্মা, নবাদল বনিক এবং রজত পাল।
তিনি জানান, জেলাস্তর থেকে শুরু বুথস্তর পর্যন্ত অনুরূপ ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটিগুলি করোনাকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার মূল দায়িত্ব পালন করবেন। মহিলা মোর্চার কার্যকর্তারা স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের করোনা সংক্রান্ত বিভিন্ন ধরণের অসুবিধা নিরসনের চেষ্টা করবেন। তাদের মধ্যে সময়ে সময়ে মাস্ক, সেনিটাইজার বিতরণ করবেন এবং করোনাকালীন বিভিন্ন রকম সরকারি নির্দেশিকা সম্বন্ধে তাদেরকে অবহিত করবেন। তাছাড়া মহিলা মোর্চা দিদিরা করোনা আক্রান্ত রোগীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবেন এবং তাদের সুবিধা অসুবিধাগুলি নিরসন করার চেষ্টা করবেন।
তাঁর দাবি, আগামী দু-একদিনের মধ্যে যুব মোর্চার উদ্যোগে একটি হেল্প লাইন চালু করা হবে। যেকোন মানুষ এই হেল্প লাইনের মাধ্যমে তাদের সমস্যার কথা জানাতে পারবেন এবং তা নিরসনের অতি দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে। ন্যাশনাল হেলথ ভলান্টিয়ার কর্মসূচীর মাধ্যমে সারা রাজ্যে ৬৫০০ জনকে করোনাকালীন মোকাবিলার জন্য ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে। প্রদেশ সাধারণ সম্পাদিকা পাপিয়া দত্তের নেতৃত্বে ন্যাশনাল হেলথ ভলান্টিয়াররা করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত যাবতীয় পরিষেবা প্রদান করবেন। রাজ্যে যে বিরাট অংশ এখনো করোনার দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করবেন। যাদেরকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে তাদেরকেও সবধরণের সাহায্য এই ন্যাশনাল হেলথ ভলান্টিয়াররা করবেন।

