Young man was called and killed : বিশালগড়ের রেশ মেলাঘরে, যুবককে ডেকে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে খুন

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/ চড়িলাম, ৯ নভেম্বর৷৷ মেলাঘরের নলছড় এলাকার এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে৷ মৃত যুবকের নাম তাপস নম৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ মেলাঘরের নলছড় এলাকায় এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ৷ হত্যার অভিযোগ অপর যুবকের বিরুদ্ধে৷ মৃত যুবকের নাম তাপস নম৷বয়স আনুমানিক ২০ বছর৷অভিযুক্ত যুবক ঘটনার পর থেকে পলাতক৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নলছড় এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ ঘটনার বিবরণ দিয়ে পরিবারের লোকজন জানিয়েছেন সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ তাপস নমকে তার এক বন্ধু বাড়ি থেকে নিয়ে যেতে আসে৷ ওই সময় তার মা-বাবা এবং স্ত্রী তাকে না যাওয়ার জন্য বলে৷ কিন্তু বন্ধু নামধারী ওই যুবক বলে সে তার নিজ দায়িত্বে তাকে নিয়ে যাচ্ছে৷


কোন অসুবিধা হলে এজন্য সে দায়ী থাকবে বলেও আশ্বস্ত করে৷ সে অনুযায়ী তাপস নম তার বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে সোনামুড়ার দিকে যায়৷ তারপর থেকে তার আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না৷ নলছড় এলাকার এক ব্যক্তি বাড়ি ফেরার সময় সুইস গেটের কাছে তাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন৷ তাকে চিনতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে ওই ভদ্রলোক দমকল বাহিনীকে খবর দেন৷ দমকল বাহিনীর জওয়ানরা এসে তাকে উদ্ধার করে সোনামুড়া হাসপাতালে নিয়ে যায়৷ সোনামুড়া হাসপাতাল থেকে ফোন করে তার বাড়িতে খবর পাঠানো হয়৷ খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন দ্রুত হাসপাতালে ছুটে যান৷ চিকিৎসকরা তাকে জিবিতে রেফার করেন৷ জিপিতে নিয়ে আসা হলে রাত দুইটা নাগাদ তার মৃত্যু হয়৷জানা যায় তার মাথার পেছন থেকে আঘাতের চিহ্ণ রয়েছে৷ স্বাভাবিক কারণেই আশঙ্কা করা হচ্ছে তাকে পরিকল্পিতভাবে মাথায় আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে৷ ঘটনার পর থেকে বন্ধু নামধারী ওই যুবক পলাতক৷ স্বাভাবিক কারণেই সন্দেহ আরও ঘনীভূত হয়৷ তাকে বন্ধু নামধারী ওই যুবক পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে আশঙ্কা পরিবারের লোকজনদের৷ এ ব্যাপারে থানায় সুনিদৃষ্ট মামলা দায়ের করা হয়েছে৷

পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ তবে এখনো পর্যন্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার এর সংবাদ নেই৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে৷ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ক্রমে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে৷
এদিকে, বিশালগড়ে নোটন দাস হত্যাকান্ডের মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ দাস ও সোনালী দাসকে ফের আদালতে তোলা হয়৷ বিশালগড় থানার পুলিশ পাঁচদিনের পুলিশ রিমান্ড আবেদন করেন৷ আদালত চারদিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেছে৷আর সোনালী দাস জেল হেপাজতে থাকবেন৷জেলেই জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্ত চালাবেন৷উল্লেখ্য গত ২৫ অক্টোবর বিশালগড় থানাধীন দুর্গানগরের যুবক নোটন দাস বক্সনগরে গিয়ে রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হয়ে যান৷ ২৭ শে অক্টোবর তার রক্তমাখা বাইক উদ্ধার করে পুলিশ৷ কিন্তু নিখোঁজ যুবকের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিলনা৷ শেষ পর্যন্ত গত ৬ নভেম্বর নোটনের স্ত্রী সোনালী দাস এর মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে কলমচৌরা থানাধীন বাগবের গ্রামের অভিজিৎ দাসকে আটক করে পুলিশ৷ টানা জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করে অভিজিৎ৷ এবং বাগবের এলাকার একটি গভীর জঙ্গল থেকে মাটি খুঁড়ে নোটনের পচা-গলা মরদেহ উদ্ধার করা হয়৷ অভিজিৎ দাস এর সঙ্গে আরো কয়েকজন জড়িত ছিলেন বলে পুলিশের অনুমান৷ ইতিমধ্যেই এক সন্দেহভাজনকে থানায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে৷ এবার চারদিন পুলিশ রিমান্ডে মূল অভিযুক্ত অভিজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ৷ এবং বাকি অভিযুক্তদের জালে তোলার চেষ্টা করবে পুলিশ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *