ব্লক আধিকারিকের পক্ষপাতীত্বের অভিযোগে পঞ্চায়েত প্রধান ও অন্যান্য সদস্যদের পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ, চাঞ্চল্য

ধর্মনগর, ৩১ জুলাই : ব্লক আধিকারিকের পক্ষপাতীত্বের অভিযোগে পঞ্চায়েত প্রধান ও অন্যান্য সদস্যরা পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে। ঘটনা উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর মহকুমার অন্তর্গত কালাছড়া ব্লকের নদীয়াপুর শনিছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে।

জানা যায়, বিডিও-র বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও উন্নয়নমূলক কাজে হস্তক্ষেপের অভিযোগ ঘিরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বুধবার বিকেল থেকে শুরু হওয়া নজরবন্দি প্রতিবাদে রীতিমতো উত্তাল হয়ে উঠেছে গোটা এলাকা। স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, কালাছড়া ব্লকের বিডিও অমিত চন্দ সিপিআই(এম)-এর পক্ষ নিয়ে দালালি করছেন এবং বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতের উন্নয়নে ইচ্ছাকৃতভাবে বাঁধা সৃষ্টি করছেন। এরই অংশ হিসেবে, পঞ্চায়েত সচিব মোহি উদ্দিনকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। শুধু তাই নয়, মাত্র দুই দিনের ব্যবধানে পর পর দুইজন নতুন সচিবকে পঞ্চায়েতের চার্জ গ্রহণে চাপ দেওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যরা।

সবচেয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ, বিডিও অমিত চন্দ পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ১৩টি গুরুত্বপূর্ণ ওয়াটার হার্ভেস্টিং প্রকল্পের ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রবল ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।এইসব অভিযোগকে সামনে রেখে বুধবার বিকেল ৫টা থেকে নদীয়াপুর শনিছড়া পঞ্চায়েত অফিস ঘেরাও করে নজরবন্দি প্রতিবাদ শুরু করেন পঞ্চায়েত প্রধান, সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভকারীরা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন ও বর্তমান সচিব এবং জিআরএসকে ঘরে আটকে রেখে জানিয়েছেন, দাবিপূরণ না হলে আন্দোলন চলবে। তাঁদের দাবি বদলি হওয়া সচিব তথা আরপিএম মোহি উদ্দিনকে পুনর্বহাল করতে হবে এবং বাতিল হওয়া ১৩টি ওয়ার্ক অর্ডার পুনরায় চালু করতে হবে। এখন দেখার বিষয়, রাজ্য সরকার ও প্রশাসন এই সংকট নিরসনে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করে।