মুম্বই, ১৫ জুলাই : ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন প্রকল্পে ব্যবহৃত হবে জাপানের উন্নততর ই১০ সিরিজের শিনকানসেন ট্রেন। প্রাথমিকভাবে ই৫ সিরিজের ট্রেন পরীক্ষা করে দেখা হলেও, প্রকল্পে শেষ পর্যন্ত ব্যবহার হবে ই১০ সিরিজ, যা জাপানে ২০৩০ সালে আত্মপ্রকাশ করবে। ঠিক তখনই ভারতেও এই ট্রেনের বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হবে বলে জানা গেছে।
৫০৮ কিমি দৈর্ঘ্যের এই হাই-স্পিড রেল করিডোরের মধ্যে ৩৫২ কিমি পড়ছে গুজরাটে এবং ১৫৬ কিমি মহারাষ্ট্রে। জাপানের শিনকানসেন প্রযুক্তির সাহায্যে নির্মিত এই করিডোরটি ভারতের গতিবেগ, নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতায় এক নতুন মাইলফলক স্থাপন করবে বলে মনে করছে রেল মন্ত্রক।
রেল মন্ত্রকের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “মুম্বই-আহমেদাবাদ হাই-স্পিড করিডোরে চলবে জাপানের নতুন ই১০ সিরিজের শিনকানসেন ট্রেন। জাপান সরকার এই প্রকল্পে ই১০ ট্রেন চালুর বিষয়ে সম্মতি দিয়েছে, যা দুই দেশের কৌশলগত অংশীদারিত্বের প্রতিফলন।”
রবিবার প্রকাশিত এক স্ট্যাটাস রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যে ৩১০ কিমি ভায়াডাক্ট নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়েছে।
প্রকল্প অনুযায়ী, ২০২৬ সালে পরীক্ষামূলক পরিষেবা চালু হবে এবং ২০২৭ সালে বাণিজ্যিক পরিষেবা শুরু হবে।
শুধুমাত্র জাপানের ওপর নির্ভর না করে ভারতীয় রেল এখন ইউরোপীয় এবং দেশীয় প্রযুক্তির দিকেও মনোযোগ দিচ্ছে। সম্প্রতি, সিগনালিং ও টেলিকমিউনিকেশন ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ইউরোপীয় প্রযুক্তি সংস্থাগুলোর সঙ্গে ভারতীয় অংশীদারিত্বে স্বাক্ষরিত হয়েছে।
অন্যদিকে, জাপানি কোম্পানিগুলোর সঙ্গে ট্রেনসেট কেনার আলোচনা চলতে থাকলেও, ই৫ ট্রেনের মাধ্যমে ট্রায়াল চালিয়ে দেখা হচ্ছে কোন কোন জায়গায় পরিবর্তন দরকার, তা বোঝার জন্য।
ভারতীয় রেল ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি -কে ২৮০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে চলতে সক্ষম বুলেট ট্রেন তৈরি করার দায়িত্ব দিয়েছে। এই কাজে তারা ডিফেন্স পিএসইউ বিইএমএল-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে।
জাপানের প্রযুক্তিগত সহায়তায় ভারতের প্রথম বুলেট ট্রেন প্রকল্প এক নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছে। একইসঙ্গে দেশীয় ও ইউরোপীয় সহযোগিতায় ভবিষ্যতের রেল পরিষেবা আরও শক্তিশালী ও আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে।

