বিজেপি থেকে সমর্থন প্রত্যাহার শীঘ্রই, জোটে থাকার পথ খোলা রেখে আবারও কৌশলী চাপ তিপরা মথার

আগরতলা, ৫ জুলাই : মধুচন্দ্রিমা শেষ, নাকি আবারও কৌশলী চাপ তৈরির চেষ্টা। সময় তা নিশ্চিত করবে। আপাতত, ত্রিপাক্ষিক চুক্তি মানছে না রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকার। এই অজুহাতে শীঘ্রই বিজেপি জোট সরকার থেকে সর্মথন প্রত্যাহারের হুশিয়ারি দিয়েছে তিপরা মথা। তবে, চাপে ফেলে জোটে টিকে থাকার পথ খোলা রেখেই এই ঘোষণা দিয়েছে প্রদ্যোতের দল। আাগমী ২০ জুলাই দিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর এই ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দেওয়া হবে। আজ সাংবাদিক সম্মেলন তিপরা মথার বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা জোট সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহারের হুশিয়ারি এভাবেই দিয়েছেন। এই হুশিয়ারি যাতে হাল্কা ভাবে না নেওয়া হয়, তাই তিনি সতর্ক করেছেন, পূর্ব ত্রিপুরা আসনের সংসদ কৃতী সিং দেববর্মণও সমর্থন তুলে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই এবিষয়ে মথা প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মণও সম্মতি দিয়েছেন। তিপরা মথার এই ঘোষণায় এই মুহুর্তে ত্রিপুরায় রাজনৈতিক মহলে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে।

এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে বিধায়ক রঞ্জিত দেবর্বমা দাবি করেন, ত্রিপুরায় জনজাতি কল্যাণে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু চরম হতাশার বিষয় হল, একবছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও ত্রিপাক্ষিক চুক্তি মানছে না রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার। এদিকে, ভিলেজ কমিটির নির্বাচনও অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। একাধিকবার এবিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক (ডা.) মানিক সাহার নিকট চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু প্রাপ্তির খাতায় কিছুই মিলছে না। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে সুর চড়িয়ে বলেন, তিপরা মথা বিজেপির শরিক হয়েও জনগণের জন্য কোনো কাজ করতে পারছে না। তাহলে শরিক দলে থাকার দরকার রয়েছে, তিপরা মথার এমনটা মনে হচ্ছে না। তাঁর দাবি, তিপরা মথার জনগণের প্রতি দায়িত্ব ও কতর্ব্য রয়েছে। মন্ত্রীত্বের লোভে মথার কোনো নেতৃত্ব বিজেপির জোট বাঁধেনি। কিন্তু শরিক দলে থেকে কোনো ফায়দা হচ্ছে না। আগামী ২০ জুলাই দিল্লীতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর সমর্থন প্রত্যাহারের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষনা দেওয়া হবে, হুশিয়ারি দেন তিনি।

এদিকে, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেও বিস্তর অভিযোগ জানিয়েছেন বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা। তিনি বলেন, মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রেও রাজ্য সরকার শরিক দলের সাথে আলোচনা করেনি। শপথ গ্রহণের আগের দিন রাত সাড়ে ৯টায় সমস্ত শরিক দলগুলিকে এ-বিষয়ে জানানো হয়েছিল। তাঁর কথায়, তিপরা মথার দুইজন বিধায়ককে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একজনকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী এবং অপরজনকে প্রতিমন্ত্রী দেওয়া হয়েছে। তাই আজ সকালেও এমডিসি তথা মথার প্রাক্তন সুপ্রিমো প্রদ্যোত কিশোর দেবর্বমণের সাথে এবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রদ্যোতের সম্মতিতেই শীঘ্রই বিজেপি জোট সরকার থেকে সর্মথন প্রত্যাহার করা হবে।

Leave a Reply