আগরতলা, ১০ জুন : ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের মোহরছড়া শাখায় পরিষেবা একপ্রকার বন্ধ হয়ে রয়েছে। পরিষেবা স্তব্ধ থাকার পরও কোন হেলদোল নেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। ফলে ব্যাঙ্কে আসা গ্রাহকরা ক্রমাগত হয়রানির শিকার হচ্ছে।
ঘটনার বিবরণে জানা গিয়েছে, ত্রিপুরা গ্রামীণ ব্যাঙ্কের তেলিয়ামুড়া মহকুমার মোহড়ছড়া শাখায় দীর্ঘ প্রায় এক সপ্তাহ পূর্বে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারনে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে গোটা ব্যাঙ্ক চত্বর। ফলে ব্যাঙ্কের বিভিন্ন পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে পড়ে। কিন্তু প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ব্যাঙ্কের মতো একটি জরুরি পরিষেবা স্তব্ধ থাকার পরও কোন হেলদোল নেই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের। ফলে ব্যাঙ্কে আসা গ্রাহকরা ক্রমাগত হয়রানির শিকার হচ্ছে।
বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকাই ব্যাঙ্কের সব ধরনের কাজকর্ম স্তব্ধ হয়ে পড়েছে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে। ফলে বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত গ্রাহকরা বিশেষ করে প্রবীণ নাগরিকটা তাদের ভাতা সংগ্রহের জন্য ব্যাঙ্কে এসে খালি হাতেই ফিরে যেতে হচ্ছে। এই বিষয়ে বুধবার সংবাদমাধ্যমের কর্মীরা ব্যাঙ্কে গিয়ে গ্রাহকদের সাথে কথা বলে জানতে পারে, দীর্ঘ প্রায় এক সপ্তাহ ধরে ব্যাঙ্কে বিদ্যুৎ পরিষেবা নেই, ফলে ব্যাঙ্কের সব ধরনের কাজকর্ম যেমন স্তব্ধ হয়ে পড়েছে তারই সঙ্গে এই হাঁসফাঁস গরমে ব্যাঙ্কে এসে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে গ্রাহকদের। অন্যদিকে ব্যাঙ্কে কর্মরত ব্রাঞ্চ ম্যানেজার রীনা মজুমদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে দীর্ঘ এক সপ্তাহ ধরে ব্যাংকের পরিষেবা বন্ধ।
তবে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের তরফে বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিকদের সাথে নিয়ে অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধানের কাজ চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া তিনি আরো জানিয়েছেন যে,, জরুরী ভিত্তিতে বিভিন্ন কাজ তেলিয়ামুড়া ব্রাঞ্চ এগিয়েও করা হচ্ছে তেলিয়ামুড়া ব্রাঞ্চে কর্মী সল্পতা থাকায় ধরনের কাজ করা সম্ভব হয়ে উঠছে না। এছাড়াও বিগত সময় থেকেই এই ব্যাঙ্কে নেটওয়ার্কের সমস্যা নিত্যদিনের সঙ্গী বলে জানিয়েছেন তিনি। তবে আগামী দু থেকে তিন দিন এর মধ্যে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টায় ব্যাঙ্ক পরিষেবার স্বাভাবিক করা হতে পারে বলে আশ্বস্ত করেন তিনি।