নয়াদিল্লি, ২ জুন : দিল্লি পুলিশের পশ্চিম জেলা শাখা মে মাসজুড়ে একটি বড়সড় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের পথ অপরাধে যুক্ত ১৩০ জন অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে ১৫ জন ডাকাত, ৪২ জন ছিনতাইকারী, ১৭ জন চোর এবং ৫৬ জন চুরি মামলার অভিযুক্ত।
দিল্লি পুলিশ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, মে মাসে আর্মস অ্যাক্ট, আবগারি আইন, জুয়া আইন এবং এনডিপিএস আইনে মোট ৮১টির বেশি মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযানে ২৫ জন পলাতক অপরাধীকে শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযানের সময়ে বিশাল পরিমাণ নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, টু-হুইলার এবং গয়না উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকায় খোলা জায়গায় মদ্যপান ও দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
দিল্লি পুলিশ পথ অপরাধ দমনে সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেছে। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, ১৫ জন দস্যুকে গ্রেপ্তার করে ১১টি ডাকাতির মামলা সমাধান হয়েছে। ৪২ জন ছিনতাইকারী ধরা পড়ায় ৩২টি মামলার নিষ্পত্তি, উদ্ধার হয়েছে নগদ অর্থ, ১০টি মোবাইল, ৬টি সোনার চেইন ও টু-হুইলার। এছাড়া, ১৭ জন চোর গ্রেপ্তারের ফলে ১৪টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে মোবাইল, নগদ টাকা, ক্রেডিট কার্ড, লোহার শিট, ব্যাটারি। শুধু তাই নয়, ৫৬ জন সাধারণ চোর ধরা পড়েছে, যার ফলে ৫৫টি চুরির মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। তাতে, উদ্ধার হয়েছে ৭টি স্কুটি, একটি মোটরসাইকেল, ৫৫টি মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা।
দিল্লি পুলিশ সংগঠিত অপরাধ দমনের বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আর্মস অ্যাক্টে ৩৭টি মামলা রুজু হওয়ায় ৩৮ জন অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ২টি পিস্তল, ৫টি গুলি এবং ৩৬টি ছুরি উদ্ধার হয়েছে। আবগারি আইনে ৩০টি মামলায় উদ্ধার হয়েছে ১৩,৫০০-এর বেশি দেশি মদের বোতল। এছাড়া, জুয়া আইনে ১২টি মামলায় ৩৮ জন গ্রেপ্তার এবং উদ্ধার হয়েছে ৩,৮৮,১০০ টাকা। পাশাপাশি, এনডিপিএস আইনে ২টি মামলায় ২ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
এদিকে, প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপের ফলে দিল্লি পুলিশ ১২০০ জনের বেশি ব্যক্তিকে খোলা জায়গায় মদ্যপান করায় আটক, ৫৫০ জনের বেশি দাঙ্গাবাজকে বিএনএসএস ১২৬/১৭০ ধারায় গ্রেপ্তার, ৬২ জন অপরাধী বিএনএসএস ১২৬/১৬৯ ধারায় আটক এবং ৫ জনকে ডিপি অ্যাক্টের ৯২/৯৩/৯৭ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ওয়েস্ট ডিসট্রিক্ট) বিচিত্র বীর স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, “আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এই অভিযান চালানো হয়েছে। পুরো পশ্চিম জেলাজুড়ে একটি সমন্বিত, বহুমুখী কৌশলের মাধ্যমে অপরাধ ও বিশৃঙ্খলার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।”
পুলিশ আরও জানিয়েছে, এই অভিযান পথ অপরাধ, সংগঠিত অপরাধ এবং সমাজবিরোধী তৎপরতার বিরুদ্ধে একটি নিরবচ্ছিন্ন প্রচেষ্টা হিসেবে চালানো হয়েছে, যাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে নিরাপত্তার অনুভূতি আরও জোরদার হয়।

