তামিলনাড়ু, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের আর্জি খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট

নয়াদিল্লি, ৯ মে : জাতীয় শিক্ষানীতি ২০২০ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেওয়ার আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি জে. বি. পারডিওয়ালা ও আর. মহাদেবনের বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করতে কোনো রাজ্য সরকারকে আদালত সরাসরি বাধ্য করতে পারে না।বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “যদি কোনো রাজ্য জাতীয় শিক্ষানীতি সম্পর্কিত কর্মকাণ্ড বা নিষ্ক্রিয়তার মাধ্যমে মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করে, সে ক্ষেত্রে কোর্ট হস্তক্ষেপ করতে পারে। তবে এই মামলায় আমরা সে বিষয়ে বিচার করতে রাজি নই।”এই মামলাটি দায়ের করেছিলেন অ্যাডভোকেট জি.এস. মানি। তিনি নিজেই মামলায় উপস্থিত ছিলেন।আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ, ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল ও দিল্লি—এই পাঁচটি রাজ্য এখনও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেনি, যেখানে দেশের ৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এই নীতিতে স্বাক্ষর করেছে।আবেদনকারী দাবি করেন, ওডিশা ও দিল্লিতে সরকার পরিবর্তনের পর বর্তমানে শুধু তিনটি রাজ্য—তামিলনাড়ু, কেরল ও পশ্চিমবঙ্গই এই সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি।তাঁর মতে, এই সমঝোতা স্মারক জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নের জন্য অপরিহার্য এবং এর মাধ্যমে আগামী তিন বছরে প্রায় ১৩,০০০ কোটি টাকার কেন্দ্রীয় অনুদান পাওয়া সম্ভব।তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে আবেদনকারী বলেন, “জাতীয় শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর মতামত—যে এটি সামাজিক ন্যায়বিচারকে খণ্ডন করে, তামিল ভাষার বিরোধিতা করে ও তামিল জনতার স্বার্থের পরিপন্থী—তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং অন্য ভারতীয় ভাষাভাষী শিশুদের শিক্ষার অধিকারকে লঙ্ঘন করে।”আবেদনে আরও বলা হয়, কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর না করা বা মৌ-তে স্বাক্ষর না করা জনস্বার্থে ক্ষতিকর এবং নাগরিকদের অধিকার লঙ্ঘন করতে পারে।উল্লেখ্য, ২০২০ সালে কেন্দ্র সরকার নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি ঘোষণা করে, যার উদ্দেশ্য ছিল শিক্ষার মানোন্নয়ন, সমন্বিত বিকাশ, সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনা ও দক্ষতা উন্নয়নে জোর দেওয়া, পাশাপাশি প্রাথমিক সাক্ষরতা ও গণনায় গুরুত্ব প্রদান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *