আগরতলা, ১৩ এপ্রিল : আগরতলা পুর নিগমের মেয়র এবং রামনগরের বিধায়ক দীপক মজুমদারের উদ্দেশ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ চিঠি পাঠালেন প্রাক্তন বিধায়ক তাপস দে। গাঙ্গাইল রোড সংলগ্ন লেক চৌমুহনী বাজার থেকে অপ্রাতিষ্ঠানিক ভাবে ব্যবসা করা সবজি, মাছ ও ফল বিক্রেতাদের উচ্ছেদ ও পুনর্বাসন না হওয়ার প্রসঙ্গেই এই চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
চিঠিতে তাপস দে লেখেন, প্রগতিশীল ও সংগঠিত বাজার গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে পুর নিগমের পদক্ষেপ অবশ্যই প্রশংসনীয়। সর্ব আবহাওয়ায় ব্যবহারযোগ্য রাস্তা নির্মাণ এবং বাজার সম্প্রসারণের উদ্যোগ গৃহীত হওয়া এক ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। তবে এই উন্নয়ন অভিযানের আড়ালে যেভাবে ওই অসংগঠিত ব্যবসায়ীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে, তা তিনি ‘অমানবিক’ বলে অভিহিত করেছেন।
বিশেষত, ত্রিপুরার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত আদিবাসী বিক্রেতারা, যাঁদের জীবিকা শুধুমাত্র মাছ, সবজি ও ফল বিক্রির ওপর নির্ভর করে, তাঁদের জন্য কোনও বিকল্প পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না রেখেই উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তিনি।
তাপস দে আরও বলেন, পরিকল্পনার অভাবে আজ সেই বিক্রেতারা আগের স্থানেই ফের বেচাকেনা করতে বাধ্য হচ্ছেন— খোলা রোদে, বৃষ্টিতে ভিজে। যদি এমনটাই হতে হতো, তবে কেনই বা তাঁদের উচ্ছেদ করা হলো? চিঠিতে মেয়রের উদ্দেশ্যে কি প্রশ্ন তুলেন তিনি।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, এই সিদ্ধান্ত হঠকারী ও অপরিপক্ব মনে হচ্ছে। এমন গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের আগে আরও গভীরভাবে ভাবা উচিত ছিল।
মানবিকতার স্বার্থে এবং ন্যায়ের খাতিরে অবিলম্বে উচ্ছেদ হওয়া ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, তাদের স্বাবলম্বী করতে স্বল্প সুদের ঋণের ব্যবস্থাও গ্রহণ করার জন্য মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।
চিঠির শেষে তাপস দে আশাপ্রকাশ করেন, মেয়র চিঠিটি গ্রহণ করে দ্রুত ও সংবেদনশীল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এবং একটি দায়িত্বশীল ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সমস্যাটির সমাধান করবেন।

