ঢাকা, ২৫ মার্চ (হি.স.): মোংলা বন্দরের গুরুত্ব তুলে ধরলেন নৌপরিবহন মন্ত্রকের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তাঁর কথায়, মোংলা বন্দর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র বন্দর। এই বন্দরটি দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। মোংলা বন্দরকে আঞ্চলিক বাণিজ্যিক কেন্দ্রতে পরিণত করার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। উল্লেখ্য, নৌপরিবহন মন্ত্রকের অধীনে থাকা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন “মোংলা বন্দরের সুবিধাদির সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন” শীর্ষক প্রকল্পের অধীনে জি টু জি ভিত্তিক সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম) কার্য ও পণ্য কার্যক্রম সম্পাদনের নিমিত্ত চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) এবং মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের মধ্যে কমার্শিয়াল এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে নৌপরিবহন মন্ত্রকের সভাকক্ষে উক্ত স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় নৌপরিবহন মন্ত্রকের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন উপস্থিত ছিলেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা দ্রুততার সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূসের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি এই প্রকল্পের সাথে জড়িত সকলকে বিশেষ করে অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টাদ্বয়ের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। নৌপরিবহন উপদেষ্টা চিন সরকার এবং চিনের জনগণের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কন্সট্রাকশন করপোরেশন (সিসিইসিসি) নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করবেন বলে আশাবাদী।
উল্লেখ্য, প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪,০৬,৮২২.৭২ লক্ষ টাকা (জিওবি ৪৭,৫৩২.৯৭ লক্ষ টাকা এবং প্রকল্প ঋণ ৩৫৯২৮৯.৭৫ লক্ষ টাকা) এবং প্রকল্পের বাস্তবায়নকাল জানুয়ারি, ২০২৫ হতে ডিসেম্বর, ২০২৮ পর্যন্ত। প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য আধুনিক বন্দর সুবিধা-সহ কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। প্রকল্পের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে ৩৬৮ মিটার দৈর্ঘ্যের দুইটি কন্টেইনার জেটি নির্মাণ; লোডেড এবং খালি কন্টেইনারের জন্য ইয়ার্ড নির্মাণ; জেটি এবং কন্টেইনার মজুত ও ইকুইপমেন্ট পরিচালন অটোমেশনসহ অন্যান্য সুবিধাদি।