কল্যাণপুর, ২০ মার্চ : ত্রিপুরার মাটি থেকে কংগ্রেস ও কমিউনিস্টদের ইতিহাস মুছে যাবে। আজ বিজেপির কল্যাণপুর জনজাতি মোর্চার অনুষ্ঠানে এমনটাই বলেন এমডিসি বিদ্যুৎ দেববর্মা।
প্রসঙ্গত, আজ ১৯৮২ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত ঘাতক বাহিনীর দ্বারা মৃত ৩৭ জন জনজাতিদের শহীদ স্মরণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানালো বিজেপির কল্যাণপুর জনজাতি মোর্চা। এদিনের অনুষ্ঠানটি কল্যাণপুর এর রজনী সর্দার পাড়া এডিসি ভিলেজের বৈরাগী পাড়া স্কুল মাঠে হয়েছে। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এম ডি সি বিদ্যুৎ দেববর্মা, ব্লক চেয়ারম্যান সোমেন গোপ, কল্যাণপুর মন্ডল সভাপতি নিতাই বল, খোয়াই জেলা বিজেপির সভাপতি বিনয় দেববর্মা, ব্লক উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান ইন্দ্রানী দেববর্মা, বিজেপি নেতা পূর্ণেন্দু ভট্টাচাৰ্য, সরস্বতী দেবনাথ ছাড়াও জন জাতি মোর্চার নেতারা। বিধায়ক পিনাকী দাস চৌধুরী রাজ্যের বাইরে থাকায় সভায় উপস্থিত থাকতে পারেন নি।
এদিন এম ডি সি বিদ্যুৎ দেববর্মা বলেন,পূর্বে তিপরা মথা এবং বিজেপিকে ডিসটার্ব করতো কিন্তু এখন দেশের প্রধানমন্ত্রীর বিকাশ মুখী কাজ দেখে তারাও পাশে এসে হাত ধরেছে। তবে বিদ্যুৎ দেববর্মা স্পষ্ট জানান, গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ড দিতে পারে একমাত্র ইউনাইটেড ন্যাশন। অন্য কেও না। এদিন বামেদের সমালোচনা করে তিনি বলেন সমাজতন্ত্র কোন দিন প্রতিষ্ঠিত হবে না। ত্রিপুরার মাটি থেকে মুছে যাবে কংগ্রেস ও কমিউনিস্টদের ইতিহাস।
এদিন বিদ্যুৎ দেববর্মা আরও বলেন, রাজ্যের অনেক জায়গাতেই কংগ্রেস কমিউনিস্টরা পৌঁছুতে পারে নি। কিন্তু বিজেপির কাছে দুর্গম বলে কিছু নেই। তিনি বলেন, এখন শুখার মরসুম। কোথায় পানীয় জল, সেচের জলের ঘাটতি, কোথায় বিদ্যুৎ এর সমস্যা সব বিজেপির নখদর্পনে এবং এগুলোর সমাধান করেই উন্নয়নমুখী বিজেপি সরকার এগিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ দেববর্মা বলেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহার সবচেয়ে বড় অবদান হচ্ছে সারা রাজ্যে অবাধ ও সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন করানো। এখন এমন অবস্থা হয়েছে রাজ্যের কংগ্রেস কমিউনিস্টরা সমালোচনা করার মতো কোন বিষয় খুঁজে পায় না।