আগরতলা, ২৮ ডিসেম্বর: রাজনীতিতে নিজের অস্তিত্বের জানান দিতে জনসম্মুখে ভুল মন্তব্য করছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার। কারণ, আগামীদিনে পার্টির সম্পাদক পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। তাই গত একমাস ধরে নড়েচড়ে বসেছেন তিনি। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে প্রোমো ফেস্ট নিয়ে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পাল্টা আক্রমণ করেছেন পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, একরাতে প্রোমো ফেস্ট-২০২৪ এর নামে সাত কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে।গতকাল ৮০ তম জনশিক্ষা দিবসে আগরতলা টাউনহলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকার। আজ সাংবাদিক সম্মেলনে ওই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন পর্যটন মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
এদিন শ্রী চৌধুরী বলেন, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্ষীয়ান সিপিআইএমের পলিটব্যুরো সদস্য মানিক সরকারের কাছ থেকে এই ধরনের মন্তব্য শোভা পায় না। মানিক সরকার মিথ্যা কথা বলেছেন। তাঁর বক্তব্য বিভ্রান্তিমূলক বলে দাবি করেন তিনি। তাছাড়া, রাজনৈতিকভাবে শ্রী সরকারও নিজেও দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন।
তাঁর কথায়, মিথ্যা বলছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। আসলের হতাশার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাঁর। কারণ, সিপিআইএমের ২০ বছরের শাসনকালে রাজ্যে তো পর্যটন দপ্তরের অস্তিত্বই ছিলো না। তৎকালীন সময়ে পর্যটন দপ্তর লালটুপি ধারীদের আঁতুড়ঘর ছিল। যাদের কাজ ছিল সিপিআইএম দলের বিভিন্ন জনসভায় বামপন্থীদের লেখা গণসংগীত গাওয়ার জন্য কমরেড শিল্পীদের সরবরাহ করা।
এদিন তিনি আরও বলেন, পর্যটন দপ্তরকে সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য সিপিএমের কখনোই সদর্থক ভূমিকা গ্রহণ করেনি। বাম আমলে উগ্রপন্থীদের আতঙ্কে পর্যটকরা জম্পুই, ডম্বুর, ছবিমুড়া সহ রাজ্যের প্রত্যন্ত অঞ্চলের পর্যটন কেন্দ্র গুলিতে যাওয়ার সাহস পেতেন না। কারণ রাস্তায় অপহরণ হয়ে যাওয়ার ভয় ছিল। তাঁর কটাক্ষ, আসলে “প্রোমো ফেস্ট-২০২৪” যেভাবে সফল হয়েছে এবং সাধারণ মানুষের প্রশংসা কুড়িয়েছে সেটা শ্রী সরকারের সহ্য হচ্ছে না। তাঁদের এই মিথ্যাে অপপ্রচারের কারণে সাধারণ মানুষের কাছে সিপিএমের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে।