আগরতলা, ২৮ নভেম্বর: লংতরাইভ্যালি মহকুমার মধ্যে সব থেকে ব্যস্ততম এলাকার নাম হল মনুঘাট। কিন্তু জনবহুল মনুঘাটে মোটর স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা নেই। রাস্তাতেই দাঁড়িয়েই যাত্রীদের গাড়িতে তুলতে হচ্ছে চালকদের। তাতে, যানজটের সমস্যাও বাড়ছে।
প্রসঙ্গত, মনুঘাট মহকুমার কেন্দ্র বিন্দুতে অবস্থিত হওয়ার কারনে এখানে প্রায় সব সময়েই ভীড় লেগে আছে। মনুঘাটে রয়েছে সর কারের বিভিন্ন দপ্তরের অফিস। মনু ঘাট বাজার এলাকা থেকে কিছু দূরে রয়েছে রেল স্টেশন। রেল স্টেশন থাকার কারণে মহকুমার বিভিন্ন এলাকার যাত্রীদের রেলে ওঠার জন্য মনু ঘাটে উঠতে হচ্ছে। মনু ঘাটের বুকে চলে গেছে আসাম-আগরতলা জাতীয় সড়ক। ফলে মনুঘাটে সব সময় ভিড় থাকে। স্থানীয় ছোট ছোট গাড়িগুলি যেমন মনুঘাটের জাতীয় সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকে তেমনি দূরপাল্লার গাড়িগুলিও রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠা নামা করা সহ মালবাহী গাড়ি গুলিতে মালপত্র উঠানামা করতে হচ্ছে। ফলে মনুঘাটে যানজট সব সময় লেগে থাকছে।
বামফ্রন্ট সরকারের আমলে মনু ব্লক সংলগ্ন এলাকায় বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করে মোটর স্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছিল। মোটর স্ট্যান্ড নির্মাণের জন্য যে এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছিল সেই এলাকারটি মনুঘাট থেকে একটু দূরে। ফলে যাত্রীরা পায়ে হেঁটে মোটর স্ট্যান্ডে যেতে চায় না। যাত্রীরা মনুঘাট বাজারের পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করছে। মোটর স্ট্যান্ডের যাত্রী না আসার কারণে যানবাহন চালক রাও গাড়ি নিয়ে মোট রস্ট্যান্ডে আসা বন্ধ করে দি য়েছে। মনুঘাট বাসীর বক্তব্য হল তৎকালীন বাম সরকার পরিকল্পনা ছাড়াই মনু ব্লক সংলগ্ন এলাকায় মোটর স্ট্যা ন্ড নির্মাণ করেছিল। ফলে বাম আমলে তৈরি মোটর স্ট্যান্ড বর্তমানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। মোটর স্ট্যান্ডের জন্য নির্মিত শৌচালয়টি জঙ্গলে ভরে গিয়েছে। গাড়ি রাখার জন্য নির্মিত মোটর স্ট্যান্ড বর্তমানে গোচারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে।
পরিতক্ত অবস্থায় পড়ে থাকার কারণে মোটরস্ট্যান্ডটিতে সন্ধ্যা হতেই নেশা কারবাড়ী দের আড্ডায় পরিণত হচ্ছে। যাত্রী না পাওয়ার কারণে যানবাহন চালকরা মোটর স্ট্যান্ড ছেড়ে জাতীয় সড়কের পাশে বসে যাত্রীদের বিপজ্জনকভাবে উঠানো নামানো হচ্ছে। রাস্তার পাশে গাড়ি গুলো দাঁড়িয়ে থাকার কারণে যানজটের সমস্যা বাড়ছে।