BRAKING NEWS

মাহমুদুর রহমানকে ক্ষমা চাইতে বলল ইস্কন, গুজবে কান না দিতেও আহ্বান 

ঢাকা, ২ অক্টোবর (হি.স.): বাংলাদেশে অবস্থিত ইস্কন-এর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন “আমার দেশ” নামক এক পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। তিনি ইস্কনকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট বলেও মন্তব্য করেছেন, এই অভিযোগের জন্য মাহমুদুর রহমানকে ক্ষমা চাইতে বলল ইস্কন। তাঁকে ৭ দিনের মধ্যে দেশের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছে ইস্কন। এই সময়ের মধ্যে তিনি ক্ষমা না চাইলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া-সহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার ইঙ্গিত দিয়েছে ইস্কন।

শনিবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘ইস্কন সম্পর্কে প্রচারিত বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন বক্তব্য ও সংবাদের প্রতিবাদ’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে ইস্কন বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইস্কন সমস্ত ধর্ম ও সম্প্রদায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও সর্বজনীন মূল্যবোধে বিশ্বাসী। সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, “আমরা সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে জানতে পেরেছি, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান ইস্কনকে জঙ্গি সংগঠন বলেছেন। তিনি আমাদের ‘র’-এর এজেন্ট বলেছেন। ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িয়েছেন। ওনাকে এসব প্রমাণ করতে হবে। আর প্রমাণ করতে না পারলে দেশের সামনে এসে ক্ষমা চাইতে হবে। ইস্কন পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে হিন্দু ধর্ম প্রচার করে। আমরা আমেরিকা, রাশিয়া বা কোনও দেশের গোয়েন্দা সংস্থা না।”

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইস্কন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শ্রী চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারী বলেন, “সম্প্রতি আমরা ‘দৈনিক আমার দেশ’ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের পক্ষ থেকে আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও অসত্য হুমকি এবং নিষেধাজ্ঞার আহ্বানের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমাদের বিশ্বাস, এই ধরনের অযাচিত ও ভিত্তিহীন বক্তব্য দেশের শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য ক্ষতিকর। মাহমুদুর রহমানকে অবহিত করতে চাই, তিনি যদি তার বক্তব্য পরিহার করে দুঃখ প্রকাশ করে দেশের কাছে ক্ষমা চান, তাহলে আমরা তাকে সাধুবাদ জানাব, অন্যথায় তার বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা এবং আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

সাংবাদিক সম্মেলনে আরও বলা হয়, ইস্কন একটি অরাজনৈতিক ধর্মীয় আন্তর্জাতিক সংগঠন। ইস্কন বাংলাদেশ বরাবরই সকলের প্রতি মানবিক সহমর্মিতা ও ধর্মীয় সহনশীলতার বার্তা প্রচার করেছে এবং জাতীয় সম্প্রীতি ও ঐক্যের পক্ষে কাজ করেছে। সুতরাং এসব মিথ্যা প্রচারণা শুধু বাংলাদেশ ইস্কনের ভাবমূর্তিকেই ক্ষতিগ্রস্ত করেনি, বরং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও ইস্কনের পাশাপাশি বাংলাদেশের সুনাম নষ্ট করছে এবং আমরা এই ধরনের বিভ্রান্তিকর প্রচারণার তীব্র নিন্দা জানাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *