BRAKING NEWS

দফায় দফায় নিম্নচাপ, প্রদীপ তৈরী ব্যাহত, দুঃশ্চিন্তায় কুমোরপাড়া

দুর্গাপুর, ২৪ অক্টোবর   (হি.স.): চিনা বাতির দাপট। তার ওপর অস্বাভাবিক সরষের তেলে মুল্যবৃদ্ধি। দেশজুড়ে দীপাবলিতে মাটির প্রদীপ জ্বালিয়ে অশুভ শক্তির বিনাশ করতে যখন জোর তৎপরতা। তখন মাটির প্রদীপ তৈরীতে বাধা হয়েছে দফায় দফায় নিম্নচাপ। চাহিদা থাকালে মাটির প্রদীপ তৈরী ব্যাহত। দীপাবলি ও ছটপুজোয় প্রদীপ জোগানে সঙ্কটের আশঙ্কা। আর তাতেই দুঃশ্চিন্তায় মাথায় হাত  কুমোরপাড়ায় মৃতশিল্পীদের।গত দু-দশক দীপাবলিতে চিন আলোয় গ্রাস করেছে এদেশের সমস্ত বাজার। নিত্য নতুন নানান ডিজাইনের সস্তার রঙিন আলোর অস্বাভাবিক বাজার তৈরী হয়েছিল। তার ফলে স্বদেশের মাটির তৈরী প্রদীপ বাজারে কদর কমেছিল। চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছিল কুমোর পাড়ার কারিগরদের। সম্প্রতি চিনা আলোর ব্যাবহার বন্ধে প্রতিবাদের ঝড় ওঠায় নতুন করে মাটির প্রদীপ তৈরীর বরাত পাচ্ছে দুর্গাপুর, অন্ডাল, পান্ডবেশ্বর, বুদবুদ ও পানাগড়ের কুমোরপাড়ার মৃতশিল্পীরা। চলতি বছর দূর্গাপুজোর আগে দফায় দফায় নিম্নচাপে প্রদীপ সহ দীপাবলির অন্যান্য মাটির অন্যান্য উপকরন তৈরীতে বাধার সৃষ্টি করেছে। কেন্দ্র সরকারের আত্মনির্ভরতার স্বপ্নে স্বপ্ন দেখেছিলেন তারা। কিন্তু সেই স্বপ্নেও অন্ধকার নেমে আসছে কুমোরপাড়ায়। অন্ধকারটা কি?লাগামছাড়া জ্বালানির মুল্যবৃদ্ধি। চাল, ডাল থেকে সরেষের তেল এমনকি জ্বালানী কয়লা, গ্যাসেরও। ফলে নাভিশ্বাস দশা সাধারন মানুষের। সব থেকে বেশী সঙ্কটে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত সম্প্রদায়। এবার মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব পড়ল আত্মনির্ভরতার স্বপ্নে। বুদবুদ, পানাগড় বাজারে ১৫টির মতো কুমোর পরিবার রয়েছে। তাদের একমাত্র জীবিকা মাটির জিনিস তৈরী। কেন্দ্রের আত্মনির্ভরতার স্বপ্নে তারও স্বপ্ন দেখেছিল। মাটির তৈরী চায়ের ভাড়, প্রদীপের কদর বৃদ্ধিতে কাজে ঝোঁক পড়েছিল কুমোরপাড়ার কারিগরদের।  বুদবুদের মৃতশিল্পী প্রদীপ পন্ডিত। তিনি বলেন,” অন্যান্য বছর ৬০ থেকে ৭০ হাজার প্রদীপ বিক্রি করেছি। এবছর ৮০ হাজার বরাত পেয়েছি। জ্বালানি কয়লা ও গ্যাসের অস্বাভাবিক মুল্যবৃদ্ধি। খরচ বেড়েছে। তবুও দাম বাজার ধরে রাখতে দাম বাড়াতে ভয় হচ্ছে। দীপাবলির বরাত অধিকাংশ জোগান হয়ে গেছে।” তিনি বলেন,” দিপাবলি পর ছট পুজো রয়েছে। চাহিদা যেভাবে বেড়েছিল তাতে আশার আলো দেখেছিলাম। দফায় দফায় নিম্নচাপের দরুন প্রদীপ তৈরীতে বাধা হয়েছে। কাচা মাটির প্রদীপ শুকোচ্ছে না। ফলে ওই প্রদীপ পোড়ানোয় দেরি হচ্ছে। এছাড়াও দিপাবলিতে ভাটিতে হাত দিই না। ভাটি বন্ধ থাকে। কোন কাজ হয় না। দিপাবলিতে কোনভাবে প্রদীপ জোগান হলেও, ছট পুজোয় সঙ্কটের আশঙ্কা রয়েছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *